কাকদ্বীপের বীরেন্দ্র বিদ্যানিকেতন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে চরম উত্তেজনা। বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে প্রকাশ্যে হেনস্থা ও ঘাড়ধাক্কা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। সেই ঘটনায় এবার গ্রেফতার হলেন পরিচালন সমিতির সভাপতি ত্রিদিব বারুই। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার দুপুরে। ঘটনাকে ঘিরে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: নরেন্দ্রপুরের স্কুলে ঢুকে গুন্ডাগিরি, মারধর শিক্ষকদের, টিচার্সরুমে চলল ভাঙচুর
জানা যাচ্ছে, বিদ্যালয়ের একটি প্রশাসনিক নথি নিয়ে বিরোধ থেকেই অশান্তির সূত্রপাত। পরিচালন সমিতির সভাপতি দাবি করেন, ওই কাগজে প্রাপ্তিস্বীকার সই করতে হবে প্রধান শিক্ষক মিলন কান্তি পালকে। কিন্তু নথিতে ভুল তথ্য থাকায় তিনি তাতে সই করতে অস্বীকার করেন। অভিযোগ, এরপরই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন ত্রিদিব বারুই। বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে উপস্থিত শিক্ষক-কর্মচারীরা জানান, সই না করার সিদ্ধান্তে প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে অশালীন আচরণ করেন সভাপতি। অভিযোগ আরও গুরুতর তিনি নাকি প্রধান শিক্ষককে ঘাড়ধাক্কা মেরে স্কুল ভবনের বাইরে বের করে দেন। ওই ঘটনার দৃশ্য নাকি স্কুলের সিসিটিভি ক্যামেরায়ও ধরা পড়েছে।
ঘটনার পর অসুস্থ হয়ে পড়েন মিলন কান্তি পাল। তাঁকে দ্রুত কাকদ্বীপ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসার পাশাপাশি তিনি পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন পরিচালন সমিতির সভাপতির বিরুদ্ধে।
অভিযোগ হাতে পেয়েই তদন্তে নামে কাকদ্বীপ থানার পুলিশ। বুধবারই সভাপতি ত্রিদিব বারুইকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ বিষয়ে কাকদ্বীপের এসডিপিও প্রসেনজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, প্রধান শিক্ষকের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতেই গ্রেফতার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার অভিযুক্তকে আদালতে পেশ করা হবে। প্রধান শিক্ষককে প্রকাশ্যে অপমান ও হেনস্থার ঘটনায় এলাকায় ক্ষোভ ছড়িয়েছে। অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, বিদ্যালয়ের প্রশাসনিক বিরোধ এমনভাবে হাতাহাতিতে গড়াতে পারে কীভাবে? শিক্ষা মহলেও এই ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।