জেওয়ারে নয়ডা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটি ৩০ অক্টোবর উদ্বোধন করা হবে। বুধবার এই ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী কিঞ্জারাপু রামমোহন নাইডু। তিনি আশা ব্যক্ত করেন, নয়ডা বিমানবন্দরে ৪৫ দিনের মধ্যে বাণিজ্যিক অপারেশন শুরু হয়ে যাবে। প্রাথমিকভাবে কমপক্ষে ১০টি শহরকে সংযুক্ত করা হবে এই বিমানবন্দরের সঙ্গে। গাজিয়াবাদের হিন্ডন বিমানবন্দরে যাত্রী সেবা দিবস অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে নাইডু বলেন, নডা বিমানবন্দরটি দ্রুত শুরু করার চেষ্টা চলছে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, 'আমরা চেষ্টা করছি যাতে নয়ডা বিমানবন্দরের উদ্বোধনটি আরও দ্রুত করা সম্ভব হয়। এই মুহূর্তে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে ৩০ অক্টোবর এটি উদ্বোধন করা হতে পারে। ৪৫ দিনের মধ্যে আমরা এখানে অপারেশন চালু হতে দেখতে পারি। এয়ারলাইন্সগুলিও জেওয়ার বিমানবন্দর থেকে পরিচালনা করতে উত্তেজিত এবং এই অঞ্চলে বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। প্রথম পর্যায়ে কমপক্ষে ১০টি শহরকে সংযুক্ত করা হবে।' তিনি আরও যোগ করেছেন যে এই বিমানবন্দরটি কার্গো অপারেশনেও কৌশলগত ভূমিকা পালন করবে। তাঁর কথায়, 'বেসামরিক বিমান পরিষেবার থেকেও এই বিমানবন্দরটিকে একটি প্রধান কার্গো হাব হিসেবে দেখছি আমরা।'
১৩৩৪ হেক্টর জুড়ে ছড়িয়ে থাকা জেওয়ার প্রকল্পটি দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরে জাতীয় রাজধানী অঞ্চলের (এনসিআর) দ্বিতীয় পূর্ণাঙ্গ বাণিজ্যিক বিমানবন্দর হবে। প্রথম ধাপে একটি একক রানওয়ে এবং একটি টার্মিনাল থাকবে এই বিমানবন্দরে। এর বার্ষিক ক্ষমতা ১২ মিলিয়ন যাত্রী হবে। চারটি ধাপে এই যাত্রী ধারণ ক্ষমতা বাড়িয়ে ৭০ মিলিয়নে নিয়ে যাওয়া হবে। কর্মকর্তারা আশা করছেন যে কেবল প্রথম বছরেই প্রায় ছয় মিলিয়ন যাত্রী ওঠা-নামা করবেন এই বিমানবন্দরে। এই বিমানবন্দরের নির্মাণ কাজ এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে প্রবেশ করেছে।
৩৯০০ মিটারের রানওয়ে এবং এটিসি টাওয়ার সম্পূর্ণ হয়েছে। এদিকে টার্মিনাল কাঠামোর কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। এরোব্রিজ স্থাপন করা হয়েছে, ব্যাগেজ সিস্টেম এবং ই-গেট স্থাপন করা হয়েছে। টার্মিনালে আলো, টয়লেট এবং গ্যালারির কাজও প্রায় শেষ। কাজ শেষ হলে ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল এভিয়েশন (ডিজিসিএ) সব খতিয়ে দেখে বিমানবন্দরের লাইসেন্স জারি করবে। যমুনা ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট প্রাইভেট লিমিটেড (ওয়াইআইএপিএল) নিশ্চিত করেছে যে মূল অ্যারোনটিক্যাল পরিকাঠামো প্রস্তুত। টার্মিনালে ছাদের কাজ শেষ হয়েছে, এবং ফিনিশিং এবং প্রযুক্তিগত ইনস্টলেশনগুলি কাজগুলি শেষ পর্যায়ে। মুম্বই, হায়দরাবাদ ও কলকাতার মতো বড় শহরগুলিতে বিমান চালানোর বিষয়ে প্রাথমিক পর্যায়ে আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন আধিকারিকরা।