আদিবাসী কিশোরীর নির্মম হত্যাকাণ্ড ঘিরে চরম উত্তেজনা রামপুরহাটে। বৃহস্পতিবার সকালে ক্ষুব্ধ জনতা স্কুলে ঢুকে প্রধান শিক্ষককে বাইরে টেনে এনে বেধড়ক মারধর করেন। এমনকি পুলিশ গিয়ে হস্তক্ষেপ করলে তাদের গাড়িতেও ভাঙচুর চালানো হয়। ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়।
আরও পড়ুন: চলন্ত ট্রেনে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণের চেষ্টা, গ্রেফতার সিধো কানহো বিরসার অধ্যাপক
অভিযোগকারীদের দাবি, অভিযুক্ত শিক্ষক মনোজ পালের অশোভন আচরণ দীর্ঘদিন ধরেই সবার নজরে এসেছিল। স্থানীয়দের মতে, তিনি ছাত্রীটিকে বারবার উত্যক্ত করতেন, খোঁজখবর নিতেন, এমনকি বিয়ের প্রস্তাবও দিয়েছিলেন। নাবালিকা রাজি না হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে মনোজ। শেষ পর্যন্ত তাকে হত্যা বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। পুলিশ সূত্রে খবর, গ্রেফতার হওয়ার পর জেরায় খুনের ঘটনা স্বীকারও করেছে ধৃত শিক্ষক। এই পরিস্থিতিতে ক্ষোভের মুখে পড়েছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষকও। স্থানীয়দের দাবি, মনোজ পালের চরিত্র সম্পর্কে সবটা জানতেন তিনি। তা সত্ত্বেও কোনওদিন ব্যবস্থা নেননি, বরং নানা সময়ে তাঁকে আড়াল করেছেন। যদি সময়মতো কঠোর পদক্ষেপ নিতেন, তাহলে হয়তো ছাত্রীটির এমন মর্মান্তিক পরিণতি হতো না এমনই মত এলাকার মানুষের।
বৃহস্পতিবার সকালে উত্তেজিত জনতা স্কুলে গিয়ে প্রধান শিক্ষককে টেনে হিঁচড়ে বাইরে আনে এবং বেধড়ক মারধর করে। ঘটনায় তাঁর জামা ছিঁড়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ পৌঁছলেও জনতার রোষ সামলানো দায় হয়ে ওঠে। শেষ পর্যন্ত কোনওক্রমে তাঁকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনার জেরে এলাকায় তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়েছে। আদিবাসী কিশোরীর হত্যাকাণ্ডকে ঘিরে রামপুরহাটে নেমে এসেছে শোক আর ক্ষোভের আবহ। পুলিশ ইতিমধ্যেই তদন্তে নেমেছে, তবে স্থানীয়দের প্রশ্ন, মনোজ পালের মতো শিক্ষক যদি স্কুলে জায়গা পান, আর কর্তৃপক্ষ চোখ বুজে থাকেন, তাহলে ছাত্রছাত্রীদের নিরাপত্তা কোথায়? উল্লেখ্য, অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে খুন, ধর্ষণ এবং নাবালিকাকে টুকরো করার অভিযোগেই মামলা রুজু হয়েছে।