পশ্চিমবঙ্গের পড়শি রাজ্য সিকিমে সামরিক মহড়ায় ভারতীয় সেনা। জানা গিয়েছে, এই মহড়ায় ত্রিশক্তি কোরের জওয়ানরা যুদ্ধের সামগ্রী নিয়ে রুট মার্চ করেন। ১৭ হাজার ফুট উচ্চতায় এই সামরিক মহড়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই সামরিক মহড়া চলাকালীন ড্রোন এবং স্মার্ট লজিস্টিকের মতো আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্য নেন জওয়ানরা। পাহাড়ি অঞ্চলে কঠোর পরিস্থিতিতেও জওয়ানদের যুদ্ধ প্রস্তুত রাখতে এবং তাদের মনোবল চাঙ্গা রাখতেই এই মহড়ার আয়োজন করা হয় বলে জানা গিয়েছে।
এর আগে এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে সিকিমে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার খুবই কাছে নিজেদের শক্তি প্রদর্শন করেছিল ভারতীয় সেনা। এএনআই-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, উত্তর সিকিমের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর মালভূমি উপ-সেক্টরে ভারতীয় সেনাবাহিনী তাদের সামরিক দক্ষতা প্রদর্শন করেছে। পূর্ব হিমালয় পর্বতমালা জুড়ে অবস্থিত এই উপ-সেক্টরটি দেশের সবচেয়ে উঁচু এবং শীতলতম যুদ্ধক্ষেত্রগুলির মধ্যে একটি। সেখানেই অত্যাধুনিক সরঞ্জাম এবং উন্নত প্রযুক্তিতে সজ্জিত কামান এবং অন্যান্য সাঁজোয়া যান নিয়ে মহড়া দেয় সেনা।
এর আগে গত মে মাসে উত্তরবঙ্গে তিন দিন ধরে চলে ভারতীয় সামরিক বাহিনীর 'তিস্তা প্রহার'। শিলিগুড়ির অদূরে চিকেন নেক এলাকার আশেপাশেই এই মহড়া দেয় ভারতীয় সেনা, আর্টিলারি বাহিনী, বায়ুসেনা। সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশের বহু কট্টরপন্থী নেতা চিকেন নেক দখল করে উত্তর পূর্ব ভারতকে সমতল থেকে আলাদা করার হুমকি দিয়েছেন। এদিকে শুল্ক যুদ্ধের আবহে চিনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের তিক্ততা মিটেছে। তবে এখনও সীমান্ত ইস্যুতে চিনের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাবে ভারত।
এদিকে সম্প্রতি কলকাতায় এসে ফোর্ট উইলিয়ামে সেনা কমান্ডারদের সম্মেলনের উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেই সম্মেলনেই নেওয়া হয়, তিনটি জয়েন্ট মিলিটারি স্টেশন তৈরি করা হবে দেশে। এর মধ্যে একটি হবে পূর্ব ভারতে। বিগত দিনে পাকিস্তানের সেনার আইএসপিআর-এর ডিজি লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরী এবং পাক সেনা প্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির দাবি করেন, এবার ভারত অপারেশন সিঁদুরের মতো অভিযান চালালে পাকিস্তান নাকি পূর্ব ভারতে হামলা করবে। এই আবহে পূর্ব ভারতে সামরিক গতিবিধি বেড়েছে সেনার।