বিয়েতে বারবার বাধা আসা এবং আর্থিক অবস্থার অবনতি, এই দুটো সমস্যা প্রায়শই জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, পিতৃদোষের কারণে ঘটে বলে মনে করা হয়। জন্মছকে সূর্য, রাহু, শনি বা কেতুর মতো গ্রহ খারাপ অবস্থানে থাকলে এই দোষের সৃষ্টি হয়। পূর্বপুরুষদের আত্মা শান্তি না পেলে এই ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
কোষ্ঠীতে বা জন্মছকে পিতৃদোষ থাকলে কিছু সহজ প্রতিকার মেনে চলতে হয়। তাহলেই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। এই প্রতিকারগুলো মন ও আত্মাকে শান্ত করে এবং পূর্বপুরুষদের আশীর্বাদ আকর্ষণ করতে সাহায্য করে।
পিতৃদোষ কাটাতে কী করবেন
১. পিপল গাছের সেবা: প্রতি শনিবার পিপল গাছের গোড়ায় জল দিন এবং সরষের তেলের প্রদীপ জ্বালান। পিপল গাছে পূর্বপুরুষদের আত্মা বাস করে বলে মনে করা হয়। এই কাজ করলে তাঁরা শান্তি পান।
আরও পড়ুন - টাকার ফোয়ারা উৎসবের মরসুমেই, প্রেমও জমে ক্ষীর! দেবীপক্ষে কপাল খুলবে এই ৫ রাশির
২. পিতৃপক্ষে তর্পণ: প্রতি বছর পিতৃপক্ষে, বিশেষ করে মহালয়ার দিনে, নিয়ম মেনে তর্পণ করুন। যদি নিজে তর্পণ করতে না পারেন, তাহলে কোনো পুরোহিতের মাধ্যমে এই কাজ করিয়ে নিতে পারেন। এই প্রথা পূর্বপুরুষদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায়।
৩. গরু ও পাখিকে খাবার দান: নিয়মিতভাবে গরুকে রুটি বা সবুজ শাকসবজি খাওয়ান। এছাড়া পাখিদের জন্য বাড়ির ছাদে বা বারান্দায় শস্য ও জল রাখুন। এই কাজগুলো দান হিসেবে বিবেচিত হয় এবং পূর্বপুরুষদের আত্মা এতে তৃপ্ত হয়।
৪. দুস্থদের সাহায্য: অসহায় বা গরিব মানুষকে খাবার, বস্ত্র বা টাকা দান করুন। বিশেষ করে অমাবস্যার দিনে এমন দান করলে তা খুবই ফলপ্রসূ বলে মনে করা হয়। এই কাজ করলে আপনার কর্মফল উন্নত হবে এবং পিতৃদোষের প্রভাব কমবে।
আরও পড়ুন - দেবীর আগমন বার্তা ঘোষণা করে নীলকন্ঠ পাখি, কেন শুভ এর দর্শন? জানুন শাস্ত্রমত
৫. পিতৃমন্ত্র জপ: প্রতিদিন সকালে বা সন্ধ্যায় 'ওঁ সর্ব পিতৃভ্যো নমঃ' মন্ত্রটি ১০৮ বার জপ করুন। এই মন্ত্র জপ করলে পূর্বপুরুষদের প্রতি আপনার ভক্তি প্রকাশ পায় এবং তাঁদের আশীর্বাদ লাভ হয়।
পাঠকদের প্রতি: প্রতিবেদনটি জ্যোতিষশাস্ত্রের গণনার ভিত্তিতে লেখা হয়েছে। এখানে লেখা সব কথা আগামী দিনে সত্য প্রমাণিত হবে, এমন দাবি করা হচ্ছে না। জ্যোতিষশাস্ত্র সংক্রান্ত কোনও প্রশ্ন বা কোনও সমস্যার সমাধানের জন্য পেশাদার জ্যোতিষীর সঙ্গে আলোচনা করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।