মে মাসের শেষে ক্লিনচিট পেয়েছিলেন সেবির প্রাক্তন চেয়ারম্যান মাধবী পুরী বুচ। এবার ক্লিনচিট পেয়ে গেলেন আদানি। গত বছর অগাস্ট মাসে শেয়ার বাজার তোলপাড় করেছিল আদানির বিরুদ্ধে হিন্ডেনবার্গের রিপোর্ট। সংস্থার শেয়ারের দাম নিয়ে নয়ছয়ের অভিযোগ উঠেছিল গৌতম আদানির বিরুদ্ধে। এবার সেইসব দায় থেকে মুক্তি পেলেন তিনি। বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সেবি স্বয়ং ক্লিনচিট দিল আদানি গোষ্ঠীকে।
কী অভিযোগ ছিল আদানি ও মাধবীর বিরুদ্ধে
প্রসঙ্গত, এই সেবিরই তৎকালীন চেয়ারম্যান ছিলেন মাধবী পুরী বুচ। অভিযোগ ছিল তাঁর ও তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধেও। হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের তরফে দাবি করা হয়েছিল, তাঁরাও আদানির একটি সংস্থায় কিছু অর্থ বিনিয়োগ করেছেন। যে কারণে আদানির বিরুদ্ধে সেই সময় কোনও ব্যবস্থা নেননি। উল্টে সুবিধা পাইয়ে দিয়েছেন। প্রসঙ্গত, মাধবী পুরী বুচ ও তাঁর স্বামী ধবল বুচের বিনিয়োগ ছিল মরিশাসের আইপিই প্লাস ফান্ড ও বারমুডার গ্লোবাল ডায়নামিক অপরচুনিটি ফান্ডে। এই দুই সংস্থার সঙ্গেই আদানির যোগ রয়েছে অভিযোগ তুলেছিল হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ।
আরও পড়ুন - প্রধানমন্ত্রী ‘পুজো উপহার’ যোজনা? নয়া GST-তে বাংলার কতটা লাভ? জানালেন নির্মলা
আদালত কী বলেছিল রায়ে?
তবে মে মাসে লোকপালের চেয়ারপার্সন বিচারপতি এএম খানউইলকরের নেতৃত্বে একটি পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ মাধবীকে ক্লিন চিট দেয়। বেঞ্চ তার রায়ে বলে, ‘আমরা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছি যে অভিযোগগুলি অনুমানের উপর ভিত্তি করে তৈরি। যাচাই করা যায়, এমন কোনও তত্ত্ব দ্বারা সমর্থিত নয় । ১৯৮৮ সালের আইন অনুযায়ী, এই অভিযোগে এমন কোনও তথ্য নেই যার ভিত্তিতে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া যায়। সেই মাফিক, এই অভিযোগগুলিকে খারিজ করা হল।’
আরও পড়ুন - ভোটাধিকারও হারালেন শেখ হাসিনা! তাঁর দলীয় কর্মীরা কি ভোট দিতে পারবেন? কী জানা গেল
নয়া চেয়ারম্যানই খারিজ করলেন সব অভিযোগ
আদানি গোষ্ঠীর সঙ্গে সেবির নাম জড়ানোর পর মাধবী পুরী বুচের বদলে সেবির নয়া চেয়ারম্যান হন তুহিন কান্ত পান্ডে। গত ১ মার্চ থেকে তিনি এই পদে। এবার তাঁর পদে থাকাকালীনই আদানির বিরুদ্ধে থাকা হিন্ডেনবার্গের সব অভিযোগ মিথ্যে বলে খারিজ করে দিল সেবি।