পুজোর আগে মোদীর বড় উপহার। নতুন জিএসটি-কে নির্মলা সীতারামন তার বাংলার সম্মুখে তুলে ধরলেন অনেকটা এভাবেই। সম্প্রতি কলকাতায় আয়োজিত হয়েছিল নেক্সট জেন জিএসটি শীর্ষক আলোচনাসভা। সেখানেই অর্থমন্ত্রী বলেন, নয়া প্রজন্ম উইডো শপিংয়েই বেশি অভ্যস্ত। কিন্তু তার পাশাপাশি এবার মন খুলে শপিং করার জন্য জিএসটির নতুন হার ধার্য করলেন মোদিজী। নয়া প্রজন্ম এবার মন খুলে কেনাকাটা করতে পারবে পুজোর জন্য।
প্রধানমন্ত্রীর পুজোর উপহার!
বৃহস্পতিবার কলকাতার জাতীয় গ্রন্থাগার ভাষা ভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, মোদীর ইচ্ছে ছিল দ্রুত নতুন জিএসটি ব্যবস্থা শুরু করে দেওয়া। কিন্তু পিতৃপক্ষের কারণে তা পিছিয়ে দেওয়া হয়। মহালয়ার পর দিন অর্থাৎ ২২ সেপ্টেম্বর থেকে নতুন জিএসটি হার ধার্য করার কথা ঘোষণা করা হয়। শারদীয় দুর্গোৎসব বা নবরাত্রির সময় নয়া প্রজন্ম যাতে অনন্দে কেনাকাটা করতে পারেন, তার জন্যই এই ব্যবস্থা বলে জানান অর্থমন্ত্রী।
আরও পড়ুন - ভোটাধিকারও হারালেন শেখ হাসিনা! তাঁর দলীয় কর্মীরা কি ভোট দিতে পারবেন? কী জানা গেল
বাংলার কোন কোন শিল্পের লাভ
এই দিন বাংলার একাধিক শিল্পের উন্নতি নিয়েও কথা বলতে শোনা যায় তাঁকে। তাঁর কথায়, জিএসটির নতুন হারের ফলে শান্তিনিকেতনের কুটিরশিল্প, বাঁকুড়ার টেরাকোটা শিল্প, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর ও পুরুলিয়ার মাদুর ও ছৌ মুখোশ তৈরির শিল্প উপকৃত হবে। এছাড়াও নদীয়ার তাঁত শিল্প, বর্ধমানের শোলার শিল্প তো আছেই। সবেতেই কর ছাড় পাবেন শিল্পী তথা কারিগররা। এছাড়াও মালদা-মুর্শিদাবাদের আম, নকশি কাঁথার শিল্প দার্জিলিঙের চা শিল্পের কথা উল্লেখ করতেও ভোলেননি তিনি। তাঁর কথায়, সমাজের সব শ্রেণির মানুষই জিএসটি দিয়ে থাকেন। তাই এই কর ব্যবস্থায় উপকৃত হবেন সব স্তরের মানুষরাই।
আরও পড়ুন - মহালয়া থেকে নবমী পর্যন্ত এড়িয়ে চলুন এই ৫ ভুল, রোষে পড়বেন মা দুর্গার
কত হল নয়া হার
প্রসঙ্গত, এই মাসের গোড়াতেই জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে নতুন হার নির্ধারণ করেন অর্থমন্ত্রী। আগে ছিল চারটি হার ৫, ১২, ১৮ ও ২৮ শতাংশ। সেই ছাড়গুলিকে বাদ দিয়ে শুধু ৫ ও ১৮ শতাংশকে রাখা হয়েছে। একমাত্র কিছু নির্দিষ্ট দ্রব্য, তামাকজাত দ্রব্য ও মাদক দ্রব্যতে ৪০ শতাংশ কর ধার্য করা হয়েছে।