এজবাস্টনে ভারত-বনাম পাকিস্তানের ওয়ার্লড চ্যাম্পিয়নশিপ অফ লেজেন্ডসের ম্যাচ হওয়ার কথা থাকলেও ভারতীয় ব্রিগেড সেই ম্যাচ না খেলার কথা জানিয়ে দেয়। এরপরই ম্যাচ বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। রবিবারই এই ম্যাচ হওয়ার কথা ছিল। এই নিয়েই বিতর্কের মুখে পড়েছে এই প্রতিযোগিতার আয়োজকরা। ভারতীয় সমর্থকদের প্রতিবাদ দেখা দিয়েছিল এই ম্যাচকে কেন্দ্র করে, কেউ মেনে নিতে পারছিলেন না কদিন আগে যে দেশের জঙ্গিরা বেছে বেছে হিন্দুদের পহেলগাঁওতে মেরে গেছে, তাঁদের সঙ্গেই নাকি ভারত ফের ক্রিকেটিয় সম্পর্ক ফেরাবে।
এরপর প্রতিযোগিতার স্পন্সরদের তরফেও রবিবার জানানো হয় যে এই ম্যাচ বাতিল করা হয়েছে, এবং তারা ভারতবাসির কাছে ক্ষমাও চেয়ে নেয়। স্পন্সর সংস্থা, ‘EaseMyTrip-র’ তরফে জানানো হয়েছে , আগেই তাঁরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে পাকিস্তানের ক্রিকেট দলের সঙ্গে কোনওরকমভাবেই তাঁরা যোগাযোগ রাখবেন না। পহেলগাঁওতে ২৬জনের পর্যটককে পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদীরা খুন করার পর দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক একেবারে তলানিতে গিয়ে ঠেকে। সরাসরি যুদ্ধ না হলেও আঘাত প্রত্যাঘাতে পাকিস্তানকে বড় ধাক্কা দেয় ভারত।
স্পন্সরদের তরফে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘পাঁচ বছরের জন্য ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ অফ লেজেন্ডসের স্পন্সরশিপ চুক্তি করা হলেও আমরা প্রথম থেকেই জানিয়েছিলাম যে আমাদের সংস্থা কোনওভাবেই পাকিস্তানের কোনও ম্যাচের সঙ্গে যুক্ত থাকবে না। আমরা গর্বিতভাবেই ভারতকে সমর্থন করি এবং আমাদের দলের পাশেই দাঁড়াচ্ছি। এটা আমরা আমাদের নৈতিক সিদ্ধান্ত হিসেবেই মনে করি। সেই সিদ্ধান্তটা ডাব্লুসিএলের দলকেও আমরা শুরুতেই জানিয়ে দিয়েছিলাম, যে ভারতীয় দলকে আমরা সমর্থন করলেও পাকিস্তান বনাম ভারতের ম্যাচে আমরা যুক্ত থাকব না। চলো একসঙ্গে ট্রফি নিয়ে আসি, ভারত সবার ওপরে। ’।
ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়ন্স লিগের আয়োজকরা দাবি করে, যেহেতু পাকিস্তানের হকি দল ভারতে আসতে চলেছিল, তাই তাঁরা ভারত বনাম পাকিস্তান ম্যাচও আয়োজন করার কথা ভেবেছিল। যদিও শনিবারই হরভজন সিং, ইরফান পাঠান, ইউসুফ পাঠান, সুরেশ রায়না, শিখর ধাওয়ান স্পষ্ট করেই জানিয়ে দেয়, তাঁরা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলবেন না। ধাওয়ান একটি আলাদা পোস্ট করেও জানায় যে তিনি আগেই আয়োজকদের জানিয়েছেন, যে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এই প্রতিযোগিতায় তিনি খেলবেন না।