রাজস্থান রয়্যালস প্লে-অফের লড়াই থেকে আগেই ছিটকে গিয়েছিল, সেই সঙ্গে তারা তাদের লিগ পর্বের ১৪টি ম্যাচ খেলে ফেলেছে। সেই সঙ্গে আইপিএলের ১৮তম আসরে তাদের অভিযানও শেষ হয়ে গিয়েছে। চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে এই ম্যাচের মাধ্যমে, ১৪ বছর বয়সী তরুণ সেনসেশন বৈভব সূর্যবংশীরও এই মরশুমের যাত্রাও শেষ হয়ে গিয়েছে। ২০২৫ আইপিএলে রাজস্থানের একটি ভয়াবহ মরশুম গেলেও, ১৪ বছর বয়সী বৈভব সূর্যবংশী মাথা উঁচু করে তার প্রথম আইপিএল অভিযান শেষ করেছে। এই কিশোর ৭টি ম্যাচে চিত্তাকর্ষক ২৫২ রান সংগ্রহ করেছে, একটি অবিশ্বাস্য সেঞ্চুরি সহ আরও কয়েকটি অসাধারণ ইনিংস খেলেছে সে।
তবে বৈভব এই মরশুমে শুধু রানই করেনি, প্রচুর অর্থও আয় করেছে। আসুন জেনে নেওয়া যাক, ২০২৫ সালের আইপিএল থেকে ১৪ বছরের কিশোর কত টাকা আয় করেছে এবং প্রতিটি রানের জন্য সে কত টাকা পেয়েছে?
প্রতি রানের জন্য কত টাকা পেল বৈভব?
২০২৫ সালের আইপিএলের জন্য বৈভব সূর্যবংশীকে ১.১ কোটি টাকায় কিনেছিল রাজস্থান রয়্যালস। সাতটি ম্যাচ খেললেও, সে পুরো মরশুম জুড়ে দলের সঙ্গেই ছিল। যার অর্থ, সে পুরো টাকাটাই পাবে। লিগ পর্বে সে ৭টি ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছিল। আইপিএলের নতুন নিয়ম অনুযায়ী, তাকে প্রতিটি ম্যাচের জন্য আলাদা ভাবে ৭.৫ লক্ষ টাকা ফি দেওয়া হবে। এর মানে হল, এই ভাবে বৈভব ৫২.৫ লক্ষ টাকা আয় করেছে। এছাড়াও, সে একটি ম্যাচে প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচের পুরস্কারও জিতেছে, যার জন্য সে ১ লক্ষ টাকা পেয়েছে।
বৈভব সূর্যবংশী স্ট্রাইকার অফ দ্য ম্যাচেরও পুরস্কার পেয়েছে। এর জন্য তাকে ১ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছিল। এর মানে হল, আইপিএল ২০২৫-কে বিদায় জানানোর আগে তিনি মোট ১ কোটি ৬৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা আয় করেছে। যদি আমরা কেবল তার চুক্তির কথা বলি, তাহলে সেই অনুযায়ী, তার প্রতিটি রানের খরচ প্রায় ৪৩,৬৫০ টাকা। যদি আমরা সামগ্রিক আয়ের দিকে তাকাই, তাহলে সূর্যবংশী প্রতিটি রানের জন্য ৬৫,২৭৭ টাকা পেয়েছে।
আইপিএল ২০২৫-এ অসাধারণ পারফরম্যান্স
আইপিএল 2025-এ বৈভব সূর্যবংশীর পারফরম্যান্স ছিল অসাধারণ। এই মরশুমে মোট ৭টি ম্যাচ খেলে, ৩৬ গড়ে ২৫২ রান করেছে। তার স্ট্রাইক রেট ছিল ২০৬, তার ব্যাট থেকে এসেছে ২৪টি ছক্কা এবং ১৮টি বাউন্ডারি। ১৯ এপ্রিল লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিপক্ষে আইপিএলে অভিষেক হয়েছিল বৈভবের। সেই ম্যাচে ১৪ বছরের কিশোর ১৭০ স্ট্রাইক রেটে ২০ বলে ৩৪ রান করেছিল। নিজের তৃতীয় ম্যাচেই গুজরাট টাইটান্সের বিপক্ষে ৩৫ বলে সেঞ্চুরি করে। এই সেঞ্চুরির মাধ্যমে সে টি-টোয়েন্টিতে সেঞ্চুরি করা সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হয়ে ওঠে। বৈভব ৩৮ বলে ১০১ রানের ইনিংস খেলেছিল।