ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ১৮তম আসরে ভারতীয় ক্রিকেটের জন্য সবচেয়ে বড় আবিষ্কার নিঃসন্দেহে বৈভব সূর্যবংশী। তবে বৈভবের জন্য এই মরশুমের আইপিএলের যাত্রা শেষ হয়ে গিয়েছে। কারণ তার দল রাজস্থান রয়্যালস প্লে-অফের লড়াই থেকে আগেই ছিটকে গিয়েছিল, সেই সঙ্গে তারা তাদের লিগ পর্বের ১৪টি ম্যাচ খেলে ফেলেছে। ২০২৫ আইপিএলে রাজস্থানের একটি ভয়াবহ মরশুম গেলেও, ১৪ বছর বয়সী বৈভব সূর্যবংশী মাথা উঁচু করে তার প্রথম আইপিএল অভিযান শেষ করেছে। এই কিশোর ৭টি ম্যাচে চিত্তাকর্ষক ২৫২ রান সংগ্রহ করেছে, একটি অবিশ্বাস্য সেঞ্চুরি সহ আরও কয়েকটি অসাধারণ ইনিংস খেলেছে।
রাজস্থানের হতাশার মাঝেই যেন পদ্মফুল হয়ে ফুটে রয়েছে বৈভব
রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে অর্ধশতরান হাঁকিয়ে মরশুম শেষ করে বৈভব সূর্যবংশী। সেই সঙ্গে ১৪ বছরের কিশোর দলের জয়ে বড় অবদান রেখে, রাজস্থানকে পয়েন্ট টেবলের লাস্টবয় হওয়ার হাত থেকে বাঁচিয়েছে। ক্রিজে বৈভব যে পরিপক্ক ভাবে ব্যাট করে, তাতে সকলেই হতবাক। কেননা পরিপক্কতা ১৪ বছর বয়সী এক প্লেয়ারের পক্ষে আশাতীত। যাইহোক বৈভবের হঠাৎ উত্থানের পর, তাকে নিয়ে যে আগ্রহ, উৎসাহ, উন্মাদনা একটু বেশিই থাকবে, এটাই তো স্বাভাবিক। কিন্তু বিহারের বৈভব এই খ্যাতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে অভ্যস্ত নয়, এতে তার বরং অস্বস্তিই হচ্ছে।
৫০০টি মিসড কল পেয়েছে
চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে জয়ের পর আরআর-এর প্রধান কোচ রাহুল দ্রাবিড়ের সঙ্গে কথা বলার সময়ে, সূর্যবংশীকে তিনি জিজ্ঞেস করেছিলেন যে, কী ভাবে ১৪ বছরের কিশোর মনোযোগ এবং জনপ্রিয়তার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিচ্ছে?
গুজরাট টাইটান্সের বিপক্ষে তার প্রথম সেঞ্চুরির পর কতজন তাকে ফোন এবং টেক্সট করেছিল, দ্রাবিড়ের এই প্রশ্নের জবাবে বৈভব বলে, ‘৫০০ টিরও বেশি মিসড কল ছিল, কিন্তু আমি ফোনটি বন্ধ করে দিয়েছিলাম।’
সঙ্গে সে যোগ করে, ‘সেঞ্চুরির পর অনেকেই আমাকে ফোন করেছিল, কিন্তু আমি এটা খুব একটা পছন্দ করি না। আমি তাই ২-৪ দিন ধরে আমার ফোন বন্ধ রেখেছিলাম। আমি আমার চারপাশে খুব বেশি লোকজন পছন্দ করি না। শুধু আমার পরিবার আর কয়েক জন বন্ধু, এটুকুই যথেষ্ট।’
দ্রাবিড়ের পরামর্শ
বৈভব সূর্যবংশী এবার অনূর্ধ্ব-১৯-এর শিবিরে যোগ দেবে। তার আগে রাহুল দ্রাবিড় তাঁকে গুরুত্বপর্শ পরামর্শ দিয়ে বলেছেন, ‘আরও ভালো করে প্রস্তুত থাকতে হবে। উন্নতি করাই হবে আসল লক্ষ্য। নতুন স্কিল সেট করতে হবে। পরের বছর আরও ভালো খেলতে হবে। কারণ যখন পরের বার ক্রিজে আসবে, তখন বোলাররা কিন্তু তোমার জন্য প্রস্তুত থাকবে। ।’ বৈভবও ‘গুরু’ দ্রাবিড়কে প্রণাম করতে ভোলেনি। প্রণাম করে সেও জানিয়ে দেয়, আরও মনোযোগী হবে এবং নিজের আরও উন্নতি করবে।