জিম্বাবোয়ের বিপক্ষে দঃ আফ্রিকার ক্যাপ্টেন্সি করতে নেমে টেস্টে বড় নজির গড়লেন কেশব মহারাজ। জিম্বাবোয়ে সিরিজের দুই টেস্টে কেশবকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে নেতৃত্ব দেওয়ার। আর সেখানেই তিনি দঃ আফ্রিকার প্রথম স্পিনার হিসেবে টেস্টে ২০০ উইকেটের মাইলস্টোন স্পর্শ করে ফেললেন। ফলে পরিসংখ্যানের নিরিখে এই মূহূর্তে তাঁদের দেশের সর্বকালের অন্যতম সেরা স্পিনার এখন কেশব মহারাজই।
জিম্বাবোয়ের ক্রেগ এরভাইনকে আউট করে নিজের স্পেশাল নম্বর অর্থাৎ ২০০তম টেস্ট উইকেটটি তুলে নেন মহারাজ। দঃ আফ্রিকার হয়ে টেস্টে কেশব মহারাজের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট নেওয়া স্পিনার হলেন হিউগ টেফিল্ড, যার ঝুলিতে রয়েছে ১৭০টি উইকেট। তাঁকে গত বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ সাইকেলেই টপকে গেছিলেন মহারাজ।
দঃ আফ্রিকার মাটিতে দলের স্পিনার হিসেবে কাজ করার পাশাপাশি এশিয়ার বিভিন্ন দেশেও মহারাজ ব্যাপক সাফল্য দিয়েছেন দলকে। দেশের হয়ে ৩৫ বছর বয়সী এই স্পিনার খেলেছেন ৫৯টি টেস্ট, আর তাতেই তিনি পেরিয়ে গেছেন ২০০ উইকেটের গণ্ডি। কিছুদিন আগেই অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল জিতেছিল দঃ আফ্রিকা। সেই ম্যাচেই হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পেয়েছিলেন তাঁদের অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা, তাই জিম্বাবোয়ে সিরিজে কেশবকে ক্যাপ্টেন্সি দেওয়া হয়।
জিম্বাবোয়ের বিপক্ষে কেশব মহারাজ ৭০ রান দিয়ে তিন উইকেট নেন। ক্রেগ এরভাইনের উইকেটের পাশাপাশি তিনি সন উইলিয়ামস এবং তানাকা চিভাঙ্গার উইকেটটিও নেন। কেশবের ঝুলিতে এখন রয়েছে ২০২টি উইকেট, বোলিং গড় ২৯.৬২। যেটা সেনা দেশের স্পিনারদের জন্য বেশ বালোই পরিসংখ্যান হিসেবে মানা হয়। দঃ আফ্রিকার ক্রিকেট ইতিহাসে কেশব মহারাজ এখন সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির তালিকায় টেস্টে ৯ নম্বরে রয়েছেন। আপাতত তাঁর লক্ষ্য ২২৪ উইকেট নেওয়ার ভার্নান ফিলান্ডারকে টপকে অষ্টম স্থানে চলে আসা।
দঃ আফ্রিকা এই টেস্টে রয়েছে চালকের আসনে। প্রথম ইনিংসে তাঁরা ৯ উইকেটে ৪১৮ রান তুলে ডিক্লিয়ার করে দেওয়ার পর জিম্বাবোয়েকে ২৫১ রানের মধ্যেই আটকে দিয়েছিলেন। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ইতিমধ্যেই ৩২৫ রানের বেশি লিড নিয়ে ফেলেছে প্রোটিয়ারা। হাতে রয়েছে এখনও পাঁচ উইকেট।