অদ্ভুত কান্ড ঘটালেন পাঞ্জাব কিংসের ক্রিকেটার, সাপোর্ট স্টাফরা। গুজরাট টাইটানসের বিপক্ষে ম্যাচে একার হাতেই দলকে টানছিলেন শশাঙ্ক সিং। শেষ পর্যন্ত তিনি পঞ্জাবকে জিতিয়ে মূল্যবান ২ পয়েন্ট এনে দেন। যদিও এরপরই ভাইরাল হয় শশাঙ্কের অর্ধশতরান করার সময়ে একটি ভিডিও ক্লিপ। যা দেখে হতভাক ক্রিকেট প্রেমীরা।
সেখানে দেখা যাচ্ছে অর্ধশতরান করার পর পাঞ্জাব কিংসের ডাগ আউটে বসে থাকা অধিনায়ক শিখর ধাওয়ান এবং অন্যান্য ক্রিকেটাররা কেউই শশাঙ্ককে অভিবাদন জানাননি। আইপিএলে সচরাচর কোনও ক্রিকেটার ভালো শট খেললেও ডাগআউট থেকে হাততালি কুড়িয়ে নেন। অথচ দলকে জিতিয়ে নায়ক বনে যাওয়া এক ক্রিকেটার অর্ধশতরানের পর প্রাপ্য সম্মানটুকু পেলেন না তাঁর সতীর্থদের থেকে। যা দেখে প্রশ্ন তুলছেন অনেকে।
উল্লেখ্য মনে রাখতে হবে শশাঙ্ক সিং হলেন সেই ক্রিকেটার যাকে পাঞ্জাব দল নিলামে কেনার পর ফিরিয়ে দিতে চেয়েছিল। যদিও তখন অকশনার মল্লিকা সাগার তাঁকে পাঞ্জাব দলেই রাখার অনুরোধ করেন। নিয়মের প্যাঁচে পড়ে শশাঙ্ককে তখনকার মতো নিয়ে নেয় পাঞ্জাব।
দলের সমস্ত তারকা ব্যাটাররা আউট হয়ে যাওয়ার পর ২৯ বলে ৬১ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলে দলকে জেতান শশাঙ্ক। দলের বাকিরা যখন ধরে নিয়েছিলেন ম্যাচ হারতে বসেছেন, তখনই নিজের হার না মানা মনোভাবের প্রকাশ করে দলকে খাদের কিনারা থেকে টেনে তোলেন শশাঙ্ক। আর এক অনামি ক্রিকেটার আশুতোষ শর্মার সঙ্গে জুটিতে ২১ বলে ৩৩ রান তোলেন।
কেউ তাঁকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন না দেখে হতবাক হয়ে যান ধারাভাষ্যকার আকাশ চোপড়া। তিনি বলেই ফেলেন যে পাঞ্জাব দল কেন শশাঙ্কের সঙ্গে এমন করছে? এত ভালো পারফরম্যান্স করছে, অর্ধশতরান করে দলকে টানছে, অথচ তার সতীর্থরা কেন ন্যূনতম সম্মান জানাচ্ছেন না তাকে , এই নিয়ে প্রশ্ন তোলেন আকাশ চোপড়া।
ম্যাচের শেষে দলকে জিতিয়ে ৩২ বছর বয়সী এই ব্যাটার বলেন, ‘আগের দিন রশিদ খানের বোলিং ভালো করে দেখছিলাম। আমি বাকিদের মতো রিভার্স সুইপ বা স্কুপ শট খেলি না। সোজাভাবে খেলার চেষ্টা করি। আজও তাই চেষ্টা করছিলাম। রশিদ খানকে খেলার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত ছিলাম। কারণ ও বিশ্ব বিখ্যাত স্পিনার। এছাড়া মোহিত শর্মার স্লো বল খেলার ক্ষেত্রেও সতর্ক ছিলাম। চেষ্টা করছিলাম তার হাত দেখে রিড করতে কেমন বল আসবে। আগে থেকেই ভেবে রেখেছিলাম কঠিন পরিস্থিতি এলে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়বো। তবে ভাবা আর কাজটা করার মধ্যে পার্থক্য থাকে, সেটা করতে পারায় আর দলকে জেতাতে পেরে ভালো লাগছে। যখন মাঠে খেলতে নামি তখন আমি মনে করি আমি বিশ্বের সেরা ব্যাটসম্যান।’