জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, চন্দ্রগ্রহণের সূতককাল গ্রহণ শুরুর ঠিক ৯ ঘন্টা আগে শুরু হয়। সূতককাল শুরু হলে এর প্রভাব পৃথিবীর উপর পড়তে শুরু করে বলে বিশ্বাস করা হয় এবং এটি গ্রহণ শেষ না হওয়া পর্যন্ত স্থায়ী থাকে।
কখন সূতককাল?
উদাহরণস্বরূপ, যদি চন্দ্রগ্রহণ রাত ৯টায় শুরু হয়, তাহলে সূতককাল শুরু হবে ওই দিন দুপুর ১২টা থেকে। চন্দ্রগ্রহণ আজ রাত ৯ টা ৫৮ মিনিটে শুরু হবে। এর মধ্যকাল রাত ১১ টা ৪১ মিনিটে। গ্রহণের সমাপ্তি ১ টা ২৭ মিনিটে হবে। জ্যোতিষমত বলছে, মোট ৩ ঘণ্টা ২৮ মিনিট থাকবে এই গ্রহণ। অর্থাৎ সূতককাল শুরু ১২টা ৫৮ মিনিটে। শেষ পরদিন সকাল ৮টা ৪১ মিনিটে।
আরও পড়ুন - ছুঁতেই পারবে না অশুভ শক্তি! গ্রহণের সময় তুলসী পাতা দিয়ে করুন এই কাজ
সূতককালের সময় কী কী করা উচিত নয়?
খাওয়া-দাওয়া: সূতককালে কোনো কিছু খাওয়া বা পান করা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়। বিশ্বাস করা হয় যে এই সময়ে খাবার অশুদ্ধ হয়ে যায়। তবে, শিশু, বৃদ্ধ, অসুস্থ ব্যক্তি এবং গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে এই নিয়ম কিছুটা শিথিল।
রান্না করা: সূতককাল শুরু হওয়ার পর নতুন করে কোনো খাবার রান্না করা উচিত নয়। এর আগে রান্না করা খাবারকেও তুলসী পাতা দিয়ে বিশুদ্ধ করে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়।
শুভ কাজ: কোনো ধরনের শুভ অনুষ্ঠান যেমন, বিবাহ, গৃহপ্রবেশ, নতুন ব্যবসা শুরু, বা কোনো গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি করা থেকে বিরত থাকা উচিত।
আরও পড়ুন - রবিবারের চন্দ্রগ্রহণে কৃপা সূূর্যদেবের! টাকার বানে ভাসবে ৪ রাশি, কাটবে ফাঁড়া
শারীরিক সম্পর্ক: এই সময়ে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করা অশুভ বলে মনে করা হয়।
ধারালো বস্তু ব্যবহার: ছুরি, কাঁচি, সুচ, ব্লেড বা অন্য কোনো ধারালো জিনিস ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকা উচিত। বিশেষ করে গর্ভবতী মহিলাদের জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়।
দেব-দেবীর মূর্তি স্পর্শ: মন্দিরের দরজা বন্ধ করে রাখা হয় এবং এই সময়ে দেব-দেবীর মূর্তি বা বিগ্রহ স্পর্শ করা উচিত নয়।
ঘুমোনো বা বিশ্রাম: অলসভাবে শুয়ে থাকা বা ঘুমানো এই সময়ে ভালো মনে করা হয় না। বরং, আধ্যাত্মিক কাজে মনোনিবেশ করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
খোলা আকাশের নিচে যাওয়া: গর্ভবতী মহিলাদের গ্রহণের সময় ঘরের বাইরে যাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত, কারণ ক্ষতিকর রশ্মি গর্ভস্থ শিশুর ওপর খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে বলে বিশ্বাস করা হয়।
পাঠকদের প্রতি: প্রতিবেদনটি জ্যোতিষশাস্ত্রের গণনার ভিত্তিতে লেখা হয়েছে। এখানে লেখা সব কথা আগামী দিনে সত্য প্রমাণিত হবে, এমন দাবি করা হচ্ছে না। জ্যোতিষশাস্ত্র সংক্রান্ত কোনও প্রশ্ন বা কোনও সমস্যার সমাধানের জন্য পেশাদার জ্যোতিষীর সঙ্গে আলোচনা করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।