গ্রহণের সময় ঘরে কিছু নির্দিষ্ট কাজ করা এবং কিছু কাজ এড়িয়ে চলা শুভ বলে মনে করা হয়, যা অশুভ প্রভাব এড়াতে সাহায্য করতে পারে। এই নিয়মগুলো মূলত জ্যোতিষশাস্ত্র এবং ধর্মীয় বিশ্বাস থেকে এসেছে।
গ্রহণের সময় অশুভ প্রভাব এড়াতে কী করবেন?
মন্ত্র জপ এবং ধ্যান: এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ বলে বিবেচিত। এই সময়ে ঈশ্বরের নাম স্মরণ করা, মন্ত্র জপ করা বা ধ্যান করা অত্যন্ত শুভ ফল দেয়। এটি মনকে শান্ত রাখে এবং নেতিবাচক শক্তি থেকে রক্ষা করে।
পূজা-অর্চনা: যদিও এই সময়ে মন্দিরের দরজা বন্ধ থাকে, তবুও আপনি ঘরে বসে দেব-দেবীর স্তুতি করতে পারেন। মনে মনে পূজা করা বা ভগবানের নাম স্মরণ করা যেতে পারে।
আরও পড়ুন - শেয়ার থেকে লটারি, সর্বত্র দেদার লাভ! ভাদ্র পূর্ণিমায় এই কাজ করলেই খুলবে কপাল
পবিত্র গ্রন্থ পাঠ: গীতা, রামায়ণ, মহাভারত বা অন্যান্য ধর্মীয় গ্রন্থ পাঠ করা এই সময়ের জন্য খুব ভালো।
তুলসী পাতা ব্যবহার: গ্রহণের সূতককালের আগে রান্না করা খাবার ও পানীয় জলে তুলসী পাতা দিয়ে রাখলে সেই খাবার অশুদ্ধ হয় না বলে বিশ্বাস করা হয়। তুলসী পাতা এই সময়ে খাবারকে বিশুদ্ধ রাখতে সাহায্য করে।
দান-ধ্যান: গ্রহণ শেষ হওয়ার পর গরীব-দুঃখী মানুষকে অন্ন, বস্ত্র বা অর্থ দান করা অত্যন্ত পুণ্যের কাজ বলে মনে করা হয়।
গ্রহণের সময় যে কাজগুলো করা উচিত নয়
খাওয়া-দাওয়া: জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, গ্রহণের সময় খাবার খাওয়া উচিত নয়। বিশ্বাস করা হয় যে এই সময়ে খাবার অশুদ্ধ হয়ে যায়। তবে অসুস্থ ব্যক্তি, শিশু এবং গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে এই নিয়ম প্রযোজ্য নয়।
রান্না করা: গ্রহণের সূতককালে নতুন করে কোনো খাবার রান্না করা উচিত নয়।
ধারালো বস্তু ব্যবহার: কাঁচি, ছুরি, সুচ বা অন্য কোনো ধারালো জিনিস ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকা উচিত, বিশেষ করে গর্ভবতী মহিলাদের জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়।
আরও পড়ুন - একই দিনে পূর্ণিমা ও চন্দ্রগ্রহণ! গ্রহণের পর এই কাজেই কাটবে অশুভ শক্তির প্রভাব
শুভ কাজ করা: বিয়ে, গৃহপ্রবেশ, নতুন কোনো ব্যবসা শুরু করা বা মূল্যবান জিনিস কেনা - এই ধরনের কোনো শুভ কাজ গ্রহণের সময় করা উচিত নয়।
মন্দির স্পর্শ: গ্রহণের সময় দেব-দেবীর মূর্তি বা বিগ্রহ স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়।
পাঠকদের প্রতি: প্রতিবেদনটি জ্যোতিষশাস্ত্রের গণনার ভিত্তিতে লেখা হয়েছে। এখানে লেখা সব কথা আগামী দিনে সত্য প্রমাণিত হবে, এমন দাবি করা হচ্ছে না। জ্যোতিষশাস্ত্র সংক্রান্ত কোনও প্রশ্ন বা কোনও সমস্যার সমাধানের জন্য পেশাদার জ্যোতিষীর সঙ্গে আলোচনা করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।