ভারতীয় দলের দুই তরুণ তুর্কি শুভমন গিল এবং যশস্বী জসওয়াল দুজনেই আরও একবার ইংল্যান্ড সিরিজে বুঝিয়ে দিয়েছেন যে তাঁদের হাতে ভারতীয় দলের ব্যাটিং যথেষ্টই নিরাপদ। দুই ক্রিকেটারই প্রথম টেস্টে লিডসের মাটিতে শতরান করেছিলেন আর এবার এজবাস্টনে এসেও দুজনেই ধারাবাহিকতা দেখালেন, যা দেখে অনেকেই খুশি। বিরাট কোহলির চার নম্বর পজিশনে কে খেলবেন তাঁর অবসরের পর, সব থেকে বেশি আলোচনা হয়েছে এই সিরিজ শুরুর আগে সেই নিয়ে।
তবে শুভমন গিল কিন্তু সেই পজিশনে খেলতে এসে নিজেকে মানিয়ে শুধু নেননি, দুরন্ত ফর্মও দেখিয়েছেন। নয়া ব্যাটিং পজিশন, সঙ্গে অধিনায়কত্বের বাড়তি চাপ। তাছাড়া প্রথম টেস্টে হারের ধাক্কা, তবুও সব সমস্যা সামলে গিল কিন্তু নিজের পারফরমেন্সেই এজবাস্টনের দর্শকদের মন জিতে নিয়েছেন।
যশস্বী জসওয়াল ৮৭ রানের ইনিংসের পর একটুর জন্য শতরান মিস করেন। তাঁর ব্যাটের কানায় লেগে বল উইকেটের পিছনে ধরা দিতেই জিভ বের করে ফেলেছিলেন যশস্বী, বুঝতে পেরেছিলেন একটা মারাত্মক ভুল হয়ে গেল। এরপর নীতীশ রেড্ডি দীর্ঘস্থায়ী ননি। কিন্তু অধিনায়ক গিল এরপর জাদেজাকে সঙ্গী করেই ভারতের রান এগিয়ে নিয়ে যান এবং নিজের শতরান পূর্ণ করে ভারতকে লড়াইয়ের জায়গায় পৌঁছে দেন।
দুজই তরুণ তারকার এই ইনিংস দেখেই উচ্ছসিত লিটল মাস্টার সচিন তেন্ডুলকর। তিনি এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘প্রথম বল থেকেই ছন্দ দেখাতে শুরু করেন যশস্বী জসওয়াল। ইতিবাচকভাবে সাহসিকতার পরিচয় দেওয়ার পাশাপাশি বুদ্ধিদিপ্ত অ্যাটাকিং ক্রিকেট খেলেছে। আর শুভমন গিল প্রত্যেকবারের মতোই ঠান্ডা মাথায় চাপের সময়ও দুরন্ত ডিফেন্ড দেখিয়েছে। পুরো খেলাই ও কন্ট্রোল করেছে। দুজনেই ক্লাসি পারফরমেন্স দেখিয়েছে, ওয়েল প্লেড ’।
গিলের অপরাজিত ১১৪ রানের ইনিংসের সৌজন্যে ভারতীয় দলের প্রথম দিনের শেষে স্কোর ৫ উইকেটে ৩১০। তিনি অধিনায়ক হিসেবে ব্যাক টু ব্যাক ম্যাচে শতরান করে দঃ আফ্রিকার তারকা গ্রেইম স্মিথদের সঙ্গেই একই ক্লাবে প্রবেশ করেছেন। যা দেখে তাঁর মেন্টর যুবরাজ গিল বলছিলেন, ‘যখন দায়িত্ব কাঁধে নিতে হয় তখন অনেকেই উঠে দাঁড়ায়। শুভমন গিলও তেমনই এক বিরল নজির গড়ল অধিনায়ক হিসেবে ব্যাক টু ব্যাক শতরান করে। ঠান্ডা মাথায়, ব্যাটের শক্তি প্রদর্শন করে নেতৃত্ব দিল, দেখালো রানের খিদে কাকে বলে। গ্রেইম স্মিথও খুশি হবেন এমন সতীর্থকে নিজের ক্লাবে দেখতে পেয়ে ’।