ফর্ম্যাট যত ছোট হয়, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট টিম ততই ভয়ডরহীন পারফর্ম্যান্স উপহার দেয়। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজের দ্বিতীয় টি-২০ ম্যাচে ক্যারিবিয়ান দল তেমনই ডাকাবুকো ক্রিকেট মেলে ধরে। যদিও ম্যাচ জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না তাদের প্রয়াস। ফলে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই টি-২০ সিরিজ হার নিশ্চিত হয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের।
বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে অনুষ্ঠিত টি-২০ ক্রিকেট লিগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটারদের চাহিদা বিস্তর। কার্যত সব ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-২০ লিগে ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটারদের উপস্থিতি চোখে পড়ে। তবে জাতীয় দলের হয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সব সুপারস্টারকে একসঙ্গে মাঠে নামতে দেখা যায় না সচরাচর।
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজের দ্বিতীয় টি-২০ ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজ হারলেও নিজেদের পারফর্ম্যান্স দিয়ে দর্শক মনোরঞ্জনে ত্রুটি রাখেননি ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটাররা। বিশেষ করে প্রথম ইনিংসের ১৯তম ওভারে আদিল রশিদের বলে যে রকম ছক্কার ঝড় তোলেন দুই ক্যারিবিয়ান তারকা জেসন হোল্ডার ও রোমারিও শেফার্ড, তেমনটা খুব কমই দেখা যায়।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই ব্যাটার মিলে রশিদের সেই ওভারে মোট ৫টি ছক্কা হাঁকান। ১টি বলে ১ রান ওঠে। অর্থাৎ, ১৯তম ওভারে মোট ৩১ রান সংগ্রহ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। রশিদের ওভারের প্রথম ৩টি বলকে গ্যালারিতে পাঠান জেসন হোল্ডার। তিনি চতুর্থ বলে ১ রান নেন। পরে ওভারের শেষ ২টি বলে পরপর ২টি ছক্কা মারেন শেফার্ড। অর্থাৎ, ওভারের ৬টি বলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সংগ্রহ করে যথাক্রমে ৬, ৬, ৬, ১, ৬ ও ৬ রান।
ইংল্যান্ড বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ দ্বিতীয় টি-২০ ম্যাচের ফলাফল
ব্রিস্টল কাউন্টি গ্রাউন্ডে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তারা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটের বিনিময়ে ১৯৬ রান সংগ্রহ করে। জনসন চার্লস ৪৭, শাই হোপ ৪৯, রোভম্যান পাওয়েল ৩৪, রোমারিও শেফার্ড ১৯ ও জেসন হোল্ডার অপরাজিত ২৯ রান করেন। ইংল্যান্ডের হয়ে ২টি উইকেট দখল করেন লিউক উড। আদিল রশিদ ৪ ওভারে ৫৯ রান খরচ করে ১টি উইকেট সংগ্রহ করেন।
পালটা ব্যাট করতে নেমে ইংল্যান্ড ১৮.৩ ওভারে ৬ উইকেটের বিনিময়ে ১৯৯ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। অর্থাৎ, ৯ বল বাকি থাকতেই ৪ উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় ব্রিটিশ দল। বেন ডাকেট ৩০, জোস বাটলার ৪৭, হ্যারি ব্রুক ৩৪, জেকব বেথেল ২৬ ও টম ব্যান্টন অপরাজিত ৩০ রান করেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ২টি উইকেট নেন আলজারি জোসেফ।