এডু-ফিনটেক স্টার্ট-আপ LEO1 (পূর্বে ফিনান্সপিয়ার নামে পরিচিত) মঙ্গলবার ঘোষণা করেছে যে ভারতীয় ক্রিকেট অধিনায়ক রোহিত শর্মা সংস্থায় টাকা লাগিয়েছেন। এক বিবৃতিতে লিও ওয়ান বলেছে, রোহিত শর্মার বিনিয়োগ তাদের ক্যাশ ফ্লো-র সমস্যার সমাধান করবে। এরফলে ভারত জুড়ে শিক্ষার্থীদের জন্য উদ্ভাবনী সমাধান প্রদানের যে টার্গেট তাদের আছে, সেটি ভালো ভাবে করা যাবে বলেই সংস্থার আশা। ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত এডু-ফিনটেক স্টার্ট-আপটির লক্ষ্য উদ্ভাবন, প্রযুক্তি এবং সম্প্রসারণের জন্য বিনিয়োগকে কাজে লাগানো।
অন্যদিকে হিটম্যান জানিয়েছেন, শিক্ষার ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে এবং সবার জন্য মানসম্পন্ন শিক্ষা সহজলভ্য করার লক্ষ্যে এলইও১-কে সমর্থন করতে পেরে আমি খুশি। তাদের দৃষ্টিভঙ্গি, অবিচল প্রতিশ্রুতি এবং উদ্যোগী মনোভাব অনুপ্রেরণা জোগায়। গত তিন বছরে, LEO1 দুটি বিনিয়োগ রাউন্ডের মাধ্যমে প্রায় ২৯১ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে। তবে রোহিত ঠিক কতটা টাকা এই ব্যবসায় ঢেলেছেন, সেটা এখনই প্রকাশ্যে আসেনি।
লিও ওয়ানের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রোহিত গজভিয়ে বলেন, 'আমাদের লক্ষ্য শিক্ষা খাতে একটি গুরুত্বপূর্ণ শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করা। অনিয়মিত নগদ প্রবাহ প্রায়শই অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে উপেক্ষা করে সংস্থাদের প্রচেষ্টা সম্পূর্ণরূপে ফি পুনরুদ্ধারের উপর চলে যায়। সারা দেশের প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য এটি একটি পুরনো সমস্যা। সমান্তরালভাবে, যেহেতু পরিবারদের ক্ষেত্রে মোট উপার্জনের ১৫-২০ শতাংশ যায় এই খাতে। এলইও 1 আমাদের 'ফিনান্সিয়াল এসএএএস' মডেলের মাধ্যমে এই চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবিলা করে যা তাদের মধ্যে দায়িত্বশীল আর্থিক আচরণকে অনুপ্রাণিত করে।
সংস্থার কর্ণধার বলেন, আমরা রোহিত শর্মার অনেক গুণাবলী থেকে অনুপ্রেরণা পাই। আমাদের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে এবং এখন একজন মূল্যবান বিনিয়োগকারী হিসেবে তার সমর্থনে আমি আত্মবিশ্বাসী যে আমরা আরও দক্ষ হয়ে উঠব। আমি আমাদের সমস্ত বিনিয়োগকারীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি এবং রোহিতকে আমাদের পরিবারে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানাচ্ছি। সম্প্রতি, সংস্থাটি একটি 'ফিনান্সিয়াল এসএএএস' পণ্য চালু করেছে যা শিক্ষা খাতের মধ্যে আর্থিক লেনদেনের একটি বিস্তৃত সমাধান সরবরাহ করে।
অন্যদিকে খেলার মাঠে সুপার এইটে ভারতের সামনে আফগানিস্তান। ২০ তারিখ হবে খেলা যার জন্য দল মুখিয়ে আছে বলে জানিয়েছেন ভারতীয় অধিনায়ক। তারপরে বাংলাদেশ ও ২৪ তারিখ অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে খেলা ভারতের। ২০০৭-এর পর কখনো টি২০ বিশ্বকাপ জেতেনি ভারত। এবার তাই দল সেই ট্রফি খরা মেটাতে বদ্ধপরিকর।