বলিউডের সঙ্গে তাঁর নাম জড়িয়েছে বারবার। কখনও বলিউড কিং শাহরুখ খান পুত্র আরিয়ান খানের কুখ্যাত ক্রুজ ড্রাগস মামলায় নেতৃত্ব, কখনও বিতর্কিত অভিযোগ। এবার ফের আলোচনার কেন্দ্রে প্রাক্তন নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো অফিসার সমীর ওয়াংখেড়ে। তাঁর অভিযোগ, নেটফ্লিক্সে মুক্তিপ্রাপ্ত সাত এপিসোডের ওয়েব সিরিজ 'ব্যা**ডস অফ বলিউড'-এর একটি চরিত্র আসলে তাঁকে ব্যঙ্গ করার জন্যই তৈরি, যা নাকি তাঁর ভাবমূর্তিকে আঘাত করেছে। আর সেই কারণেই শাহরুখ-পুত্র আরিয়ান এবং রেড চিলিজ এন্টারটেনমেন্টের বিরুদ্ধে দিল্লি হাইকোর্টে ২ কোটি টাকার মানহানির মামলা দায়ের করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন-অবৈধ প্রবেশ! মার্কিন মুলুকে পরপর দুর্ঘটনা, পুলিশের জালে ভারতীয় ট্রাকচালক
বৃহস্পতিবার মামলার শুনানিতে আদালতে সমীর ওয়াংখেড়ের আইনজীবী সন্দীপ শেঠি বলেন, এই ওয়েব সিরিজটি দিল্লি-সহ ভারতজুড়ে দেখা যাচ্ছে এবং এর থেকে তৈরি মিমগুলি দিল্লির মানুষদের মতো প্রাক্তন নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো অফিসারের সুনামকে প্রভাবিত করেছে।এরপরেই সমীর ওয়াংখেড়ের উদ্দেশ্যে দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি বলেন, 'আপনার অভিযোগটি যথাযোগ্য নয়। আমি আপনার অভিযোগটি খারিজ করছি।' এদিকে, আদালতে রেড চিলিজ এন্টারটেনমেন্ট এবং নেটফ্লিক্সের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছেন যথাক্রমে সিনিয়র আইনজীবী হরিশ সালভে এবং মুকুল রোহাতগি।
আরও পড়ুন-অবৈধ প্রবেশ! মার্কিন মুলুকে পরপর দুর্ঘটনা, পুলিশের জালে ভারতীয় ট্রাকচালক
২০২১ সালের সেই স্মৃতি এখনও তাজা। ক্রুজ পার্টি থেকে মাদকযোগের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন আরিয়ান। তখনই এই তদন্তের দায়িত্বে ছিলেন সমীর ওয়াংখেড়ে। জেলে কাটাতে হয়েছিল কিছুদিন। পরে অবশ্য আদালত থেকে অব্যাহতি মেলে শাহরুখ-পুত্রের। কিন্তু সেই অধ্যায় যেন নতুন করে ফিরে এল ওয়েব সিরিজের পর্দায়। এক এনসিবি আধিকারিকের চরিত্র, যাঁর চেহারার সঙ্গে মিল পাওয়া যাচ্ছে সমীর ওয়াংখেড়ের। নেটিজেনরা বলছেন, ইচ্ছাকৃত ভাবেই সেই চরিত্রে খোঁচা দেওয়া হয়েছে প্রাক্তন আধিকারিককে। সমীরের বক্তব্য আরও কঠোর। তাঁর দাবি, এই সিরিজ সম্পূর্ণ মিথ্যা, বিদ্বেষপরায়ণ এবং মানহানিকর। শুধু তাঁকেই নয়, বরং মাদকবিরোধী সংস্থা তথা আইন প্রয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে ওয়েব সিরিজটি। এতে সাধারণ মানুষের আস্থা নষ্ট হতে পারে বলেও দাবি তাঁর। সমীরের আরও অভিযোগ, এই সিরিজে এক দৃশ্যে দেখা যায়, ‘সত্যমেব জয়তে’ উচ্চারণ করার পর অশ্লীল ইঙ্গিত (মধ্যমা উঁচু করে) করা হচ্ছে। সমীরের মতে, এটি জাতীয় সম্মানের বিরুদ্ধে গুরুতর অপরাধ, যা প্রতিরোধ আইনের আওতায় ফৌজদারি শাস্তিযোগ্য। একইসঙ্গে তিনি দাবি করেছেন, সিরিজের বিষয়বস্তু তথ্যপ্রযুক্তি আইন এবং ভারতীয় দণ্ডবিধি (বর্তমানে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা)-র বিভিন্ন ধারাকেও লঙ্ঘন করেছে।এই কারণেই দিল্লি হাইকোর্টে তিনি মামলা ঠুকেছেন।আবেদনে তিনি দাবি করেন সিরিজের স্ট্রিমিং ও বিতরণ অবিলম্বে বন্ধ করা হোক, এবং আদালত ঘোষণা করুক- এটি মানহানিকর। এছাড়া যে ২ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ তিনি চেয়েছেন, সেটি যেন সরাসরি দান করা হয় টাটা মেমোরিয়াল ক্যান্সার হাসপাতালে ক্যান্সার রোগীদের চিকিৎসার জন্য।