খলিস্তানি রেফারেন্ডাম কোঅর্ডিনেটর ইন্দ্রজিৎ সিং গোসালকে গ্রেফতার করা হয়েছিল কানাডায়। শিখস ফর জাস্টিসের প্রধান গুরুপতওয়ান্ত সিং পান্নুনের ‘ডান হাত’ হিসাবে পরিচিত এই ইন্দ্রজিৎ। তবে গ্রেফতারির এক সপ্তাহের মধ্যে ইন্দ্রজিৎ জামিন পেয়ে গেল। এই আবহে তাকে জেল থেকে ছেড়েও দেওয়া হয়েছে। এদিকে জেল ছাড়া পেতেই ইন্দ্রজিৎ হুমকি দিয়েছে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালকে। সঙ্গে দিল্লিকে খলিস্তান বানানোর ডাক দিয়েছে ইন্দ্রজিৎ। এদিকে 'ডান হাত' জেল থেকে ছাড়া পেতে ডোভালকে উদ্দেশ্য করে হুমকি দিয়েছে পান্নুনও।
পান্নুন হুমকি দিয়ে বলে, 'অজিত ডোভাল, তুমি কানাডা, আমেরিকা বা অন্য কোনও ইউরোপীয় দেশে এসে আমাদের গ্রেফতার করার চেষ্টা করো না কেন? বা আমাদের প্রত্যর্পণের চেষ্টা করো না কেন? ডোভাল, আমি তোমার জন্য অপেক্ষা করছি।' এদিকে ইন্দ্রজিৎ বলে, 'ভারত, আমি মুক্ত; ২৩ নভেম্বর খলিস্তানি গণভোটের আয়োজন করার ক্ষেত্রে গুরপতবন্ত সিং পান্নুনকে সমর্থন করার জন্য আমি প্রস্তুত। দিল্লি হবে খলিস্তান।'
উল্লেখ্য, সদ্য দিল্লিতে কানাডার নিরাপত্তা উপদেষ্টা নাথালি দ্রুইনের সঙ্গে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের বৈঠক হয়েছিল। সেই বৈঠকের পরপরই গ্রেফতার করা হয়েছিল ইন্দ্রজিৎকে। তার বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অস্ত্র সঙ্গে রাখার অভিযোগ ছিল। এদিকে কানাডার কর্তৃপক্ষকে ইন্দ্রজিৎ সম্পর্কে বেশ কিছু নথি সরবরাহ করে ভারতীয় এজেন্সিগুলিও। পান্নুনের সঙ্গে ইন্দ্রজিতের যোগাযোগ, আর্থিক লেনদেন সম্পর্কিত বেশ কিছু নথি কানাডার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল। জানা যাচ্ছে, হরদীপ সিং নিজ্জরের পর থেকে খলিস্তানি কর্মকাণ্ডে তাবড় নাম হয়ে উঠছিল এই ইন্দ্রজিৎ। ২০২৩ সালের জুন মাসে হরদীপ সিং নিজ্জরের হত্যা হয়। সেই হত্যা নিয়ে তৎকালীন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ভারতের দিকে আঙুল তুলেছিলেন। এর জেরে দিল্লি-অটোয়া সম্পর্ক সর্বকালীন সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিল। তবে মার্ক কার্নির জমানায় ধীরে ধীরে মেরামত হচ্ছে ভারত-কানাডা সম্পর্কে। এদিকে এর আগে গত বছরের নভেম্বর মাসেও ইন্দ্রজিৎকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। সেবার গ্রেটার টরেন্টো এলাকায় এক হিন্দু মন্দিরে হামলা ও ভক্তদের ওপর চড়াও হওয়ার অভিযোগ ছিল গোসালের বিরুদ্ধে।