শর্তসাপেক্ষে জামিন পেয়ে গেলেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আজ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সিবিআইয়ের মামলায় পার্থকে জামিন দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি শুভ্রা ঘোষ। এই আবহে সব মামলাতেই জামিন পেয়েছেন পার্থ। তবে পুজোর আগে জেল থেকে ছাড়া পাচ্ছেন না তিনি। এদিকে জামিন পেলেও কেন এখনই মুক্তি পাবেন না পার্থ? উল্লেখ্য, এর আগে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, যে মামলাগুলিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন এখনও বাকি, তাতে চার সপ্তাহের মধ্যে চার্জশিট দাখিল করতে হবে তদন্তকারীদের। এরপর মাসের মধ্যে সাক্ষীদের বয়ান রেকর্ড করার কাজ শেষ করতে হবে। চার্জ গঠন ও সাক্ষীদের বয়ান শেষ না হওয়া পর্যন্ত পার্থকে জেল থেকে ছাড়া যাবে না। এই আবহে তদন্তকারীদের এই সব কাজ শেষ করতে আরও ১ মাসের মতো সময় লাগে পারে। এই আবহে আর মাসখানেকের মধ্যেই বাড়ি ফিরতে পারেন পার্থ।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে জেলে আছেন পার্থ। ২০২২ সালের জুলাইয়ে তাঁকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। পরবর্তীতে তাঁকে সিবিআইও গ্রেফতার করেছিল। দীর্ঘদিন ধরে বারবার জামিনের আবেদন করেও আদালত খালি হাতেই ফিরতে হয়েছে পার্থকে। তাঁকে এসএসসির নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলাতেও যুক্ত করেছিল সিবিআই। তবে সম্প্রতি এসএসসি দুর্নীতির ২টি মামলায় জামিন পান পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এর আগে গত ১৮ অগস্ট এসএসসির গ্রুপ সি নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে জামিন পান পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ওই মামলায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে জামিন দেয় সুপ্রিম কোর্ট। তবে পরপর একাধিক মামলায় জামিন পেলেও জেলমুক্তি হয়নি তাঁর। আপাতত প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বর্তমানে বন্দি রয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বর্তমানে বাইপাসের ধারে একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন পার্থর। কারণ প্রাথমিক শিক্ষা নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তাঁকে 'শোন অ্যারেস্ট' দেখিয়েছিল সিবিআই। আজ সেই মামলাতেও জামিন পেলেন পার্থ।
এদিকে জামিন পেলেও প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে পাসপোর্ট জমা রাখতে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। নিম্ন আদালতের এলাকা ছাড়তে পারবেন না পার্থ। এছাড়া মুক্তি পাওয়ার পরে সাক্ষীদের সঙ্গে কথা বলতে পারবেন না বলে নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে তদন্তে সহযোগিতা করতে হবে। এদিকে পার্থ চট্টোপাধ্যায় মোবাইল নম্বর বদল করতে পারবেন না। আপাতত বিধায়ক হিসেবেও কাজ করতে পারবেন না। কোনও পাবলিক অফিসে দায়িত্ব নিতে পারবেন না।