আদালতের নির্দেশ মেনে সকাল সকাল ইডি দফতরে হাজিরা দিলেন রাজ্যের কারা ও ক্ষুদ্র কুটির শিল্পমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ। বৃহস্পতিবার তিনি পৌঁছন সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি দফতরে। প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত এই তৃণমূল নেতা আদালতের নির্দেশ মেনে এদিন হাজির হন।
আরও পড়ুন: চন্দ্রনাথের মামলায় ইডির আর্জি খারিজ, বহাল থাকল জামিন, আদালতে স্বস্তি মন্ত্রীর
আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, এ মুহূর্তে ইডি তাঁকে হেফাজতে নিতে পারবে না। তবে বৃহস্পতি ও শুক্রবার তাঁকে দফতরে গিয়ে তদন্তে সহযোগিতা করতে হবে। সেই নির্দেশ মেনেই এদিন হাজিরা দেন বোলপুরের বিধায়ক। ইডি দফতরে ঢোকার আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে চন্দ্রনাথ সিংহ বলেন, তদন্তে তিনি সম্পূর্ণ সহযোগিতা করছেন। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী হাজির হয়েছেন। এদিন তাঁকে খালি হাতেই ভবনে ঢুকতে দেখা যায়। এখনও পর্যন্ত তাঁর কাছে কোনও নথি চাওয়া হয়নি বলেই খবর।
উল্লেখ্য, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পর প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় চার্জশিটে নাম থাকা দ্বিতীয় মন্ত্রী হলেন চন্দ্রনাথ সিংহ। ইডির তরফে অভিযোগ, নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে তাঁর সরাসরি যোগ রয়েছে। কেন্দ্রীয় সংস্থা তাঁকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইছিল। কিন্তু গত ৬ সেপ্টেম্বর চন্দ্রনাথ বিচারভবনের ইডি বিশেষ আদালতে আত্মসমর্পণ করেন এবং জামিনের আবেদন জানান। আদালত ব্যক্তিগত বন্ডে তাঁর জামিন মঞ্জুর করে। বুধবারের শুনানিতে আদালত জানিয়ে দেয়, জামিন বহাল থাকবে। তবে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার আগামী ২৫ এবং ২৬ সেপ্টেম্বর মন্ত্রীকে ইডি দফতরে হাজির হয়ে জিজ্ঞাসাবাদে অংশ নিতে হবে। প্রয়োজনে পরবর্তী পর্যায়ে তাঁকে আবারও তলব করা হতে পারে।
রায়ের পর চন্দ্রনাথ বলেছিলেন, তিনি সবসময় বিচারব্যবস্থার উপর ভরসা রেখেছেন। ভবিষ্যতেও রাখবেন। সচেতনভাবে কখনও কোনও অন্যায় করেননি। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী হাজিরা দেবেন। সেই মতো এদিন হাজিরা দেন। যদিও জামিনের পাশাপাশি কিছু শর্তও চাপানো হয়। নির্দেশ অনুযায়ী, শুনানি শেষ না হওয়া পর্যন্ত তিনি নিজের বিধানসভা কেন্দ্র ও কলকাতার বাইরে যেতে পারবেন না।