অভিনেতা তথা বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী এবং তাঁর পরিবারকে নিয়ে প্রকাশ্যে আর কোনও অবমাননাকর মন্তব্য করতে পারবেন না তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। এমন নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। শুক্রবার বিচারপতি অরিন্দম মুখোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, আগামী তিন মাস এই ধরনের মন্তব্য থেকে বিরত থাকতে হবে তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষকে। মামলার পরবর্তী শুনানি ডিসেম্বর মাসে হবে বলে আদালত ঠিক করেছে। আদালতের এই নির্দেশের পরেই মুখ খুললেন কুণাল।
আরও পড়ুন: ‘উনি নাকি চোর…’! রঘু ডাকাতকে বদনামের চেষ্টা কুণালের? নাম না করে কটাক্ষ রাণার
আদালতের নির্দেশের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কুণাল ঘোষ জানান, তিনি সংবাদমাধ্যমের মাধ্যমেই জেনেছেন যে, মিঠুন চক্রবর্তীর মামলায় তাঁকে মুখ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। তবে তিনি এখনও আদালতের কোনও কাগজ পাননি। যেহেতু এক্স-পার্টি অর্ডার হয়েছে, তাই বিস্তারিত জানেন না। নোটিস পান বা না পান, তিনি মিঠুন চক্রবর্তী সম্পর্কে কিছু বলবেন না।
যদিও নাম না নিয়ে কুণাল নিজের ভঙ্গিতে কটাক্ষ করতেও ভোলেননি। তাঁর কথায়, কে কোন চিটফান্ড থেকে কত উপার্জন করেছে, সেটা বুঝে নিন। গরমকালে গরম জামা পরে কে ঘোরে, সেটাও দেখুন। তিনি তো মিঠুন চক্রবর্তীর নাম নিচ্ছেন না। তবে কার স্ত্রী-পুত্র ধর্ষণ বা নারী নির্যাতনের অভিযোগে যুক্ত, সেই তথ্যও সামনে আনা যেতে পারে। তিনি কিছু না বললেও মানুষ সব বুঝবেন।
প্রসঙ্গত, মিঠুন চক্রবর্তীর পক্ষ থেকে আদালতে অভিযোগ করা হয়েছিল যে, কুণাল ঘোষ প্রায়শই তাঁর এবং তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে অপমানজনক মন্তব্য করছেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই আদালত এই নির্দেশ দিয়েছে আগামী তিন মাস মিঠুন চক্রবর্তী এবং তাঁর পরিবারের কোন সদস্যের নামে অবমাননাকর মন্তব্য করতে পারবেন না।