সপ্তম শ্রেণির এক নাবালিকা ছাত্রীকে হত্যা করার পর তার দেহ দ্রুত পচানোর জন্য রাসায়নিক মিশিয়েছিলেন শিক্ষক মনোজ পাল। এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক পরবর্তীতে আইনি পরামর্শ নিতে সিউড়ি ছুটেছিলেন। রবিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় এই তথ্য প্রকাশ করেছেন অভিযুক্তের আইনজীবী অনিন্দ্য সিংহ। তিনি মানবিক কারণে নিজেকে মামলা থেকে সরিয়ে নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: রামপুরহাট কাণ্ডে জনতার রোষে প্রধান শিক্ষক, বাইরে বের করে মারধর করার অভিযোগ
অভিযুক্তের আইনজীবী জানান, প্রথমে রামপুরহাট থানার জিজ্ঞাসার পর শিক্ষক পাল মুক্তি পান। এরপর তিনি হাই কোর্টের এক আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং ৭ সেপ্টেম্বর সিউড়িতে এসে অনিন্দ্যবাবুর কাছে আইনি পরামর্শ চেয়েছিলেন। তিনি হত্যাকাণ্ড লুকিয়ে রাখার উপায় জানতে চেয়েছিলেন। আইনজীবীর বক্তব্য অনুযায়ী, শিক্ষক মনোজ পাল জানিয়েছিলেন, তাঁর স্কুলের হস্টেলে সপ্তম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে প্রথমে সতর্ক করা হয়েছিল। ছাত্রীকে কিছুক্ষণ বকাঝকা ও সতর্ক করা হয়, তবে এর পরই সে নিখোঁজ হয়। পরিবার ও স্থানীয়রা ছাত্রীকে খুঁজতে এসে স্কুলে পৌঁছান। এরপর শিক্ষক ছাত্রীর অবস্থান লুকিয়ে রাখেন।
পুলিশের তদন্তে জানা গেছে, ২৯ অগস্ট ভোরে ছাত্রীকে ভাড়া বাড়ির বাথরুমে হত্যা করা হয়। হত্যার পর শিক্ষক মনোজ পাল কেমিক্যাল মিশিয়ে দেহকে দ্রুত পচানোর চেষ্টা করেন। তারপর দেহ তিনটি বস্তায় ভরে পৃথক স্থানে ফেলে দেওয়া হয়। দুইটি বস্তা রামপুরহাটের জঙ্গলে সেচ নালায় ফেলা হয় এবং অপরটি অন্য স্থানে ফেলা হয়। আইনজীবী অনিন্দ্য সিংহ জানিয়েছেন, এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত শিক্ষক খুনের দায় স্বীকার করেছেন, তবে নিজেকে মানবিক কারণে মামলা থেকে সরিয়ে নিয়েছেন। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মামলার তদন্ত এখনও চলছে। ঘটনাস্থল থেকে প্রমাণ সংগ্রহ, দেহের ফরেনসিক পরীক্ষা ও রাসায়নিক বিশ্লেষণ চলছে। এছাড়া ঘটনার সঙ্গে যুক্ত অন্যান্য সহযোগীদের শনাক্ত ও গ্রেফতারের জন্য পুলিশ যথাসাধ্য চেষ্টা চালাচ্ছে।