উত্তরপ্রদেশের ফিরোজাবাদের একটি স্কুলের মাঠে রামলীলা উৎসব আয়োজনে নিষেধাজ্ঞা জারি করে এলাহাবাদ হাইকোর্টের একটি আদেশ স্থগিত করেছে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, যেহেতু উৎসবের প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে, তাই রামলীলা অনুষ্ঠান হবে।
আরও পড়ুন-'অবিচ্ছিন্ন নীরবতা লজ্জাজনক!' প্যালেস্টাইন গণহত্যায় মোদী সরকারকে তোপ সনিয়ার
বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সূর্যকান্ত, উজ্জ্বল ভুঁইয়া এবং এন কোটিশ্বর সিং-র একটি বেঞ্চ শিক্ষার্থীদের অসুবিধা না করার শর্তে ওই নির্দেশ দিয়েছে। আদালতের নির্দেশে বলা হয়েছে, যদিও স্কুলের মাঠে ধর্মীয় অনুষ্ঠান আয়োজন করার অনুমতি দেওয়া হয় না, কিন্তু এই রামলীলা গত ১০০ বছর ধরে চলে আসছে। এ বছরও ১৪ সেপ্টেম্বর উৎসব শুরু হয়েছে। তাই হাইকোর্টের উচিত জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া যাতে ভবিষ্যতে রামলীলা উৎসব উদযাপনের জন্য একটি বিকল্প স্থান নির্ধারণ করা হয়। আর স্কুলের মাঠ শুধুমাত্র শিক্ষার্থীদের ব্যবহারের জন্য সংরক্ষিত থাকে। আদালত আরও বলেছে, কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের কথা শোনা উচিত। এই পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্ট 'শ্রী নগর রামলীলা মহোৎসব'-র দাখিল করা বিশেষ ছুটির আবেদনটি নিষ্পত্তি করেছে।
আরও পড়ুন-'অবিচ্ছিন্ন নীরবতা লজ্জাজনক!' প্যালেস্টাইন গণহত্যায় মোদী সরকারকে তোপ সনিয়ার
রামলীলার কারণে শিক্ষার্থীরা মাঠ ব্যবহার করতে পারছে না বলে অভিযোগ করে একটি আবেদনের ভিত্তিতে এলাহাবাদ হাইকোর্ট ওই নির্দেশ দিয়েছিল। এরপরেই আয়োজকরা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়ে জানান, তাদের হাইকোর্টের কার্যক্রমে কোনও পক্ষ হিসেবে ধরা হয়নি এবং রায় দেওয়ার আগে কোনও শুনানিও হয়নি। হাইকোর্টে দায়ের করা জনস্বার্থ মামলায় (পিআইএল) অভিযোগ করা হয় যে স্কুলের মাঠে স্থায়ীভাবে প্রবেশের জন্য সিমেন্টের ইন্টারলকিং টাইলস লাগানো হয়েছিল। তারপরেও স্কুলের প্রধান প্রবেশপথকে 'সীতা রাম গেট'-এ রূপান্তরিত করা হয় এবং সেখানে দোলনা ও অন্যান্য সরঞ্জাম লাগানো হয়। এলাহাবাদ হাইকোর্টে আবেদনকারী দাবি করেন, ১৮ দিনের রামলীলা উৎসবের সময় শিক্ষা কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হবে এবং শিশুরা খেলার মাঠ থেকে বঞ্চিত হবে। জবাবে রাজ্য কর্মকর্তারা বলেছিলেন, জলাবদ্ধতা রোধ করার জন্য স্কুলের মাঠে টাইলস লাগানো হয়েছে। এছাড়াও এই উৎসব গত ১০০ বছর ধরে হয়ে আসছে এবং শুধুমাত্র সন্ধ্যে ৭টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চলবে। কিন্তু হাইকোর্টের এই যুক্তি যথাযোগ্য বলে মনে হয়নি।একইসঙ্গে স্কুলের মাঠে রামলীলা উৎসব আয়োজনে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এরপরেই উৎসবের আয়োজকরা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন।