পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে রাজস্থানের জয়সলমীর জেলায় এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে বৃহস্পতিবার। রাজস্থান পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বিষয়টি জানিয়েছেন। রিপোর্ট অনুযায়ী, রাজস্থান পুলিশের সিআইডি (গোয়েন্দা) ইউনিট জয়সলমীরের বাসনপীর জুনির বাসিন্দা হানিফ খানকে গ্রেফতার করেছে। তার বিরুদ্ধে টাকার বিনিময়ে পাকিস্তানি সংস্থাকে ভারতীয় সেনাবাহিনী সম্পর্কে গোপন তথ্য পাঠানোর অভিযোগ রয়েছে।
রাজস্থান সিআইডির আইজি ডঃ বিষ্ণুকান্ত বলেন যে গোয়েন্দা দল রাজ্যে গুপ্তচরবৃত্তির কার্যকলাপের ওপর ক্রমাগত পর্যবেক্ষণ করে চলেছে। এই নজরদারির সময়ই তারা ৪৭ বছর বয়সি হানিফ খানের সন্দেহজনক কার্যকলাপ শনাক্ত করেছিল সিআইডি। তদন্তে জানা গিয়েছে যে হানিফ খান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলছিল। এই হানিফ খান সহজেই সীমান্তবর্তী এলাকায় যাওয়া-আসা করত। জিজ্ঞাসাবাদের সময় জানা যায় যে, হানিফ গুরুত্বপূর্ণ সামরিক স্থাপনা এবং সেনাবাহিনীর গতিবিধি সম্পর্কে পাকিস্তানকে তথ্য দিত। এমনকী অপারেশন সিঁদুরের সময়ও পাকিস্তানকে ক্রমাগত তথ্য দিয়ে চলেছিল এই হানিফ।
হানিফের মোবাইল ফোন ইতিমধ্যেই আরও তদন্ত এবং প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণের জন্য ফরেন্সিকে পাঠানো হয়েছে। সেখানে পরীক্ষার পর নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে যে হানিফ খান আর্থিক লাভের জন্য আইএসআইকে গুরুত্বপূর্ণ সামরিক গোয়েন্দা তথ্য সরবরাহ করছিল। এই সব প্রমাণের ভিত্তিতে সিআইডি ১৯২৩ সালের অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের অধীনে একটি মামলা দায়ের করে এবং বৃহস্পতিবার হানিফ খানকে গ্রেফতার করেছে। এই বছর জয়সলমীরে গুপ্তচরবৃত্তির সাথে সম্পর্কিত চতুর্থ গ্রেফতারির ঘটনা এটি।
উল্লেখ্য, পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর পাক গুপ্তচর নেটওয়ার্কের বিরুদ্ধে অভিযান জোরদার করা হয়েছে ভারতে। অনেককেই গ্রেফতার করা হয়েছে। সেই তালিকায় জনপ্রিয় ইউটিউবার থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষও রয়েছে। আবার সামরিক বাহিনীর হয়ে কাজ করা বেসামরিক ব্যক্তিও গ্রেফতার হয়েছে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে। অনেক ক্ষেত্রেই দিল্লিতে অবস্থিত পাকিস্তানি হাইকমিশনের মাধ্যমে এই সব গুপ্তচরদের নিয়োগ করা হয়েছিল। আবার কিছু ক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রেমের জাল পেতে ফাঁদে ফেলা হয়েছিল কাউকে কাউকে।