প্রয়াত গায়ক জুবিন গর্গের ম্যানেজার সিদ্ধার্থ শর্মার বাড়ির সামনে বিক্ষোভ উত্তেজিত জনতার। গতকাল পরিস্থিতি এতটাই উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে ওঠে যে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশকে লাঠিচার্জ করতে হয়। উল্লেখ্য, অসম পুলিশের একটি বিশেষ তদন্তকারী দল এই কিংবদন্তি গায়কের মৃত্যুর তদন্ত করছে। গত সপ্তাহে সিঙ্গাপুরে মৃত্যু হয়েছিল জুবিন গর্গের। এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি উঠেছে। এদিকে ইতিমধ্যেই এই মৃত্যুর ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতের নাম শেখরজ্যোতি গোস্বামী। তিনি গায়কের ড্রামার ছিলেন বলে জানা যাচ্ছে।
যে সিদ্ধার্থ শর্মার বাড়ির সামনে এই বিক্ষোভ প্রদর্শন চলে, তিনি পতালক বলে জানা গিয়েছে। ২০১৪ সাল থেকে জুবিনের ম্যানেজার হিসেবে কাজ করছিলেন সিদ্ধার্থ। দাবি করা হচ্ছে, এই ১১ বছরে অসমে একাধিক সম্পত্তি করে ফেলেন সিদ্ধার্থ। এমনকী ২০২৩ সাল থেকে জুবিন গর্গ মিউজিক এলএলপি-র মালিকানা তাঁর কাছে চলে যায় ২০২৩ সালে। এহেন সিদ্ধার্থের বাড়িতে গতকাল এসআইটি সদস্যরা হানা দিয়েছিলেন। সেই সময় অনেকেই ভেবেছিলেন, সিদ্ধার্থকে বুঝি এসআইটি গ্রেফতার করেছে। তবে পরে বোঝা যায়, এসআইটি কাউকে গ্রেফতার করেনি সেখান থেকে। এরপরই উত্তেজিত জনতা পুলিশের গাড়ির ওপর হামলা করে। এর জেরে উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব়্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স মোতায়েন করা হয়।
এদিকে জুবিন গর্গের দেহের ময়নাতদন্ত হয়েছিল দু'বার। তবে তাতেও কাটছে না ধোঁয়াশা। এই আবহে মুখ্যমন্ত্রী জানান, বিশেষ তদন্তকারী দলের রিপোর্ট যদি সন্তোষজনক না হয় তবে রাজ্য সরকার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী ব্যুরো তদন্তের সুপারিশ করা হবে। এই নিয়ে হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, 'আমাদের ধৈর্য ধরতে হবে এবং এসআইটিকে তদন্ত করতে দিতে হবে। আমরা তাদের রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করব এবং যদি এটি সন্তোষজনক প্রমাণিত না হয় তবে আমরা অবশ্যই সিবিআই তদন্তের জন্য যেতে পারি। তবে আপাতত আমি সব জুবিন ভক্তদের ধৈর্য ধরার পরামর্শ দিচ্ছি।'
এদিকে ইতিমধ্যেই নর্থ ইস্ট ফেস্টিভ্যালের উদ্যোক্তার শ্যামকানু মোহন্তের বাড়িতেও হানা দিয়েছে অসম পুলিশের দল। প্রসঙ্গত, ২০ এবং ২১ সেপ্টেম্বর সিঙ্গাপুরের নর্থ ইস্ট ফেস্টিভ্যালে পারফর্ম করার কথা ছিল জুবিনের। কিন্তু ঠিক আগের দিন অর্থাৎ ১৯ তারিখেই স্কুবা ডাইভিং করতে গিয়ে মারা যান তিনি। ঘটনাটি আপাতদৃষ্টিতে দুর্ঘটনা বলে মনে হলেও জুবিনের ভক্তদের অভিযোগ, তাঁকে পরিকল্পিত ভাবে খুন করা হয়েছে। এই আবহে তদন্তে নেমেছে অসম পুলিশ।