এশিয়া কাপের ইতিহাসে এই প্রথমবারের মতো ফাইনালে মুখোমুখি বহতে চলেছে পাকিস্তান। গতকাল সুপার ফোর পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচ খেলে বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান। সেই ম্যাচটি কার্যত সেমিফাইনালে পরিণত হয়েছিল দুই দলের জন্য। সেই ম্যাচে বাংলাদেশকে হারিয়ে রবিবারের ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করে সলমন আলি আঘার দল। আর ম্যাচ জিতেই ভারতকে 'সতর্কবাণী' সলমনের। ম্যাচ শেষে সলমনকে প্রশ্ন করা হয়েছিল ভারতের বিরুদ্ধে ফাইনালে খেলার বিষয়ে। জবাবে তিনি বলেন, 'আমাদের দল এখন সত্যি স্থিতিশীল হয়ে গিয়েছে। আমরা যে কাউকে হারাতে যথেষ্ট ভালো দল। আমরা উচ্ছ্বসিত এবং আমরা ফাইনালে তাদের হারাতে চাইব।'
এদিকে মুখে বড় বড় কথা বললেও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বেশ চাপেই ছিল পাকিস্তান। শুধু তাই নয়, ম্যাচের বিভিন্ন সময় মনে হয়েছিল, বাংলাদেশই জয়ী হতে পারে। তবে বাংলাদেশ নিজেরাই জঘন্য খেলে পাকিস্তানকে যেন ফাইনালের টিকিটটা উপহার দিয়ে দেয়। পাকিস্তানের দেওয়া মাত্র ১৩৬ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশ দায়িত্বজ্ঞানহীন ব্যাটিং করে। কোনও ব্যাটারই সেভাবে দাঁড়াতে পারেননি ক্রিজে। বরং বলা যেতে পারে, দাঁড়ানোর চেষ্টাও সেভাবে করেননি। এর জেরে ১১ রানে বাংলাদেশ হেরে যায় ম্যাচটি।
অবশ্য ম্যাচটি দুর্দান্ত ভাবে শুরু করেছিল বাংলাদেশ। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান প্রথম দুই ওভারেই দু'টি উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল। ১০ ওভারের শেষে সলমন আঘাদের স্কোর ছিল চার উইকেটে ৪৬ রান। শেষ ১০ ওভারে ৮৯ রান তোলে পাকিস্তান। নির্ধারিত ২০ ওভারে আট উইকেটে ১৩৫ রান করেন সলমনরা। মহম্মদ হারিস করেন ৩১ রান, শাহিন আফ্রিদি ২টি ছক্কা মেরে ১৯ রান করেন, মহম্মদ নওয়াজ ১৫ বলে ২৫ রান করেন।
সেই রানটা তাড়া করতে নেমে প্রথম ওভারেই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ওপেনিংয়ে ভালো ফর্মে থাকা সাইফ হাসান কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করেন। তবে তিনিও ১৮ রানে সাজঘরে ফেরেন। বাংলাদেশের গোটা ইনিংসে শামিম হোসেন (২৫ বলে ৩০ রান) ছাড়া কেউ ২০ রানের গণ্ডি পার করতে পারেননি। এদিকে পাকিস্তানের হয়ে ৩টি করে উইকেট তুলে নেন হারিস রউফ এবং শাহিন আফ্রিদি, ২টি উইকেট পান সইয়ম আয়ুব, ১ উইকেট পান মহম্মদ নওয়াজ।