গত রবিবার ভারতের বিরুদ্ধে এশিয়া কাপের ম্যাচে পাকিস্তানি ক্রিকেটার হারিস রউফ এবং সাহিবজাদা ফারহানের 'উস্কানিমূলক' অঙ্গভঙ্গি নিয়ে বিতর্ক চলছিলই। এরই মাঝে আরও নীচে নামল পাকিস্তান। এদিকে এবার আর কোনও ক্রিকেটার নয়, বিতর্কে ঝআঁপালেন স্বয়ং পিসিবি প্রধান। উল্লেখ্য, পিসিবি প্রধান মহসিন নকভি পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের প্রধানও বটে। এহেন মহসিন সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর ভিডিয়ো পোস্ট করেন। সেখানে রোনাল্ডোর হাতের ভঙ্গিমা হারিস রউফের মত। মহসিন যেন ভারতকে সংঘাতের সময় যুদ্ধবিমান ধ্বংস নিয়ে খোঁচাতে চাইলেন। (আরও পড়ুন: মাঠে ছাড়িয়েছিল সীমা, পাইক্রফটের কাছে হারিস-ফারহানের বিরুদ্ধে অভিযোগ ভারতের)
আরও পড়ুন: এশিয়া কাপে পাকিস্তানের প্রাথমিক 'জয়', বিরাট সমস্যায় পড়তে পারেন সূর্যকুমার যাদব
উল্লেখ্য, সুপার ফোরের ম্যাচে সাহিবজাদা ফারহান তাঁর পঞ্চাশ করার পরে বন্দুকের মতো করে ব্যাট ধরে উদযাপন করেছিলেন। এই বছরের শুরুতে কাশ্মীরের পহেলগাঁয়ে এক সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছিল পাক জঙ্গিরা। সেই পরিপ্রেক্ষিতে সাহিজবাদার এই সেলিব্রেশনে বিতর্ক হয়। এবং তাঁর এই অঙ্গভঙ্গি স্পষ্টতই অসংবেদনশীল ছিল। এদিকে হারিস রউফ ভারতীয় দর্শকদের দিকে আঙুল তুলে '৬-০' ইশারা করেছিলেন এবং বিমান ধ্বংস হওয়ারও ইঙ্গিত করেছিলেন হাতে। উল্লেখ্য , পাকিস্তান দাবি করেছিল যে তারা অপারেশন সিঁদুরের সময় তারা ৬টি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ধ্বংস করেছিল। তবে এর পরিপ্রেক্ষিতে তারা কোনও প্রমাণ দিতে পারেনি। তবে সেই ভুয়ো দাবি নিয়েই গর্বিত পাকিস্তান। আর ক্রিকেটে না পেরে উঠে সেই ভুয়ো দাবি নিয়েই ভারতীয় সমর্থকদের কটাক্ষ করার চেষ্টা করেছিলেন হারিস। (আরও পড়ুন: 'আমরা ছক্কা মারার কথা ভাবি না...', ম্যাচ হেরে 'আজব' উক্তি বাংলাদেশ অধিনায়কের)
এর আগে গ্রুপ পর্বের ম্যাচে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অনায়াসে জয় পেয়েছিল ভারত। এরপর থেকেই সূর্যকুমার যাদবদের হাত না মেলানো নিয়ে কান্নাকাটি শুরু করে পাকিস্তান। তবে তাৎক্ষণিক ভাবে ভারতীয় দল বা বিসিবিআইয়ের বিরুদ্ধে সরাসরি কোনও পদক্ষেপ না করতে পেরে ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফ্টের পিছনে পড়ে পিসিবি। এমনকী ম্যাচ রেফারে হিসেবে অ্যান্ডি পাইক্রফ্টকে সরানোর দাবিতে অনড় থেকে সংযুক্র আরব আমিরাতের বিরুদ্ধে ম্যাচ বয়কটের হুমকি দিয়েছিল পিসিবি। এরই মাঝে আইসিসি স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, পাইক্রফ্টকে সরানো হবে না। এদিকে ম্যাচ না খেললে পিসিবিকে গুনতে হত মোটা অঙ্কের লোকসান। সঙ্গে এশিয়া কাপ থেকেও ছিটকে যেত তারা। এই আবহে অবশেষে আত্মসমর্পণ করে মাঠে নামে পাকিস্তান। ম্যাচ জিতলেও মাঠের বাইরে তাদের হার হয়। তবে সেই হারকেই 'জয়' হিসেবে দেখানোর জন্য পিসিবি দাবি করে, অ্যান্ডি পাইক্রফ্ট নাকি ক্ষমা চেয়েছিলেন পাকিস্তান অধিনায়ক সলমন আঘার কাছে। তবে ক্রিকবাজের রিপোর্ট অনুযায়ী, পাইক্রফ্ট কোনও ক্ষমা চাননি। তিনি শুধু জানান, ভুল বোঝাবুঝির কারণে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়। তিনি নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেন আঘার কাছে। আর সেটাই 'ক্ষমাপ্রার্থনা' বলে প্রচার করছিল পিসিবি। এই আবহে টুর্নামেন্ট জুড়ে শুধুই বিতর্কে ডুবে থেকেছে পাকিস্তান।