চার সন্তানের বাবা ধর্মেন্দ্রর প্রেমে পড়েছিলেন বলিউডের ‘ড্রিম গার্ল’ হেমা মালিনী। সুপারস্টার জিতেন্দ্রর সঙ্গে বিয়ে ভেঙে পরিবারের অমতে বিবাহিত ধর্মেন্দ্রর হাত ধরেছিলেন হেমা। পরিবার-সমাজের পরোয়া না করে মনের ডাকে সাড়া দিয়েছিলেন অভিনেত্রী। ১৯৮০ সালের ২রা মে ‘নিকাহ’ সুসম্পন্ন হয়েছিল দিলাওয়ার খান ও আয়েশা খানের (ধর্ম পাল্টানোর পর ধর্মেন্দ্র ও হেমার নাম)। দেখতে দেখতে ৪৪ বছর একসঙ্গে কাটিয়ে ফেলেছেন দুজনে।
হেমার মেয়ে এশা দেওল সম্প্রতি তাঁর পরিবারের খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কে মুখ খুলেছেন, একইসঙ্গে বাবা-মা'র জীবনের একটি সিক্রেট ফাঁস করেছেন। ইটাইমসের সাথে একটি সাক্ষাত্কারে এশা তাঁর মেয়েদের ঐতিহ্যবাহী দক্ষিণ ভারতীয় খাবারের প্রতি আকর্ষণের কথা জানান। এবং ৮৯ বছর বয়সী ধর্মেন্দ্রর হেমা মালিনীর মন জুগিয়ে চলতে এখনও কী কাণ্ডটাই না করেন তাও জানিয়েছেন এশা।
হেমা মালিনীর সঙ্গে থাকাকালীন ধর্মেন্দ্র তাঁর খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করে ফেলন। পাঞ্জাবি মুন্ডা দ্বিতীয় বউয়ের সঙ্গে থাকলে হঠাৎ করেই নিরামিশাষী হয়ে ওঠেন। দক্ষিণী ভারতীয় কন্যে হেমা। মাছ-মাংসের গন্ধ সহ্য় হয় না তাঁর। এশা বলেন, ‘আমি দক্ষিণ ভারতীয় খাবার খেয়ে বড় হয়েছি। আমার প্রধান খাদ্য হল ইডলি, সাম্বার এবং চাটনি সহ ধোসা। দই ভাত খেতেও আমার ভালো লাগে। এখন আমার মেয়েরাও এটা উপভোগ করে। তারা আমাদের রাঁধুনিকে সপ্তাহে অন্তত তিনবার ইডলি, সাম্বার এবং চাটনি তৈরি করতে বলে’। হেমা মালিনীর সঙ্গে থাকাকালীন ধর্মেন্দ্র আমিষ খাবার ত্যাগ করেন। এশার কথায়, ‘আমার বাবা সত্যিই আমার মায়ের পছন্দকে সম্মান করেন, তাই যখনই তিনি তাঁর সাথে থাকেন, তিনি নিরামিষভোজী হন। আমরা যখন কোথাও ঘুরে বেড়াই, তখন আমরা তাকে কিছু আমিষ খাবার খেতে দেখি। এবং যখন তিনি এটি করেন, তখন তিনি আমিষ খাওয়ার জন্য অন্য ঘরে যান, কারণ মা ওই গন্ধ সহ্য করতে পারে না। আমি তাঁদের আউটডোর শ্যুটিংয়ে দেখেছি এবং আমি এই সুন্দর মুহুর্তগুলি প্রত্যক্ষ করেছি’।
অভিনয় কেরিয়ার শুরুর আগেই পরিবারের পছন্দ করা মেয়ে প্রকাশ কৌরকে বিয়ে করেছিলেন ধর্মেন্দ্র। প্রকাশের সঙ্গে ধর্মেন্দ্রর বিয়ে হয় ১৯৫৪ সালে। সেইসময় অভিনেতার বয়স ছিল মাত্র ১৯ বছর। হেমা-র সঙ্গে সম্পর্কে জড়ালেও কোনওদিন প্রথম স্ত্রীকে ডিভোর্স দেননি অভিনেতা। প্রকাশ কৌর ও ধর্মেন্দ্রর চার সন্তান- সানি দেওল, ববি দেওল এবং দুই মেয়ে বিজেতা ও অজিতা। অন্য়দিকে হেমা ও ধর্মেন্দ্রর দুই কন্য়া- এষা দেওল এবং অহনা দেওল।
ধর্মেন্দ্র ও হেমা মালিনীর প্রথম দেখা হয় ১৯৭০ সালে, তুম হাসিন ম্যায় জওয়ান ছবির শুটিংয়ের সময়। ছবিতে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন দু'জনে। তারপরেই শুরু দুজনের প্রেমের গল্প। ধর্মেন্দ্রর সঙ্গে মেয়ের প্রেম মেনে নিতে পারেননি হেমার বাবা, তাঁর মৃত্যুর পর ধর্মেন্দ্রকে বিয়ে করেন অভিনেত্রী।