পিপল গাছ হিন্দু ধর্মে অত্যন্ত পবিত্র ও ঐশ্বরিক বলে বিবেচিত হলেও, বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে এটিকে বাড়ির ভিতরে বা খুব কাছাকাছি লাগানো অশুভ বলে মনে করা হয়। এর কিছু বাস্তুগত কারণ রয়েছে।
পিপল গাছের গুরুত্ব
হিন্দু ধর্ম অনুসারে, এই গাছকে 'বৃক্ষরাজ' বলা হয় এবং বিশ্বাস করা হয় যে এর মূলে ব্রহ্মা, কাণ্ডে বিষ্ণু এবং পাতার অগ্রভাগে শিবের বাস। শনিবার পিপল গাছে জল অর্পণ করলে বা প্রদীপ জ্বালালে শনি দেবের প্রকোপ শান্ত হয় বলে মনে করা হয়। এই গাছকে পিতৃপুরুষদের সাথেও যুক্ত করা হয়, এবং এর পূজা করলে তাঁদের আশীর্বাদ লাভ হয়। জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, অশ্বত্থ গাছের পুজো বা পরিক্রমা করলে অকালমৃত্যু ভয় ও কালসর্প দোষের প্রভাব কিছুটা কমে আসে।
বাড়ির ভিতরে বা কাছাকাছি পিপল গাছ লাগানো কেন অশুভ?
বাস্তুশাস্ত্র মতে, পিপল গাছকে বাড়ির ভিতরে বা বাড়ির খুব কাছাকাছি লাগানো উচিত নয়। কারণ পিপল গাছের ছায়া যদি দিনের কোনও সময় বাড়ির ওপর পড়ে, তবে তা অগ্রগতিতে বাধা সৃষ্টি করে, দারিদ্র্য এবং অসুস্থতা নিয়ে আসে বলে মনে করা হয়। বাস্তু মতে, পিপল গাছ একাকীত্বের অনুভূতি সৃষ্টি করে, যা পরিবারের সদস্যদের মানসিক শান্তি ও পারিবারিক বন্ধনের জন্য ভালো নয়। কথিত আছে, বাড়ির আশেপাশে এই গাছ থাকলে সন্তানদের জীবনে সমস্যা বা তাদের অসুস্থতা দেখা দিতে পারে।
আরও পড়ুন - কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো ২০২৫-এ ৬ না ৭ অক্টোবর? তিথি ও পুজোর শুভক্ষণ কবে, কখন?
আরও পড়ুন - পুজোর মধ্যেই শনির বিশেষ যোগ! ৫ রাশির ভাগ্যে কর্মের সুফল, ভারী হবে পকেট
নিজে থেকেই যদি পিপল গাছ জন্মায়, কী করবেন?
যদি আপনার বাড়ির দেওয়ালে বা উঠোনে পিপল গাছের চারা নিজে থেকেই জন্মায়, তবে তা কখনই কাটা উচিত নয়, কারণ এতে 'পিতৃদোষ' হতে পারে। শনিবার দিনটিকে পিপল গাছের স্থান পরিবর্তনের জন্য সবচেয়ে শুভ বলে মনে করা হয়। চারা গাছটিকে উপড়ে ফেলার আগে দুধ, জল বা তেল দিয়ে তার পূজা করুন। তারপর সাবধানে এমনভাবে উপড়ে ফেলুন যাতে এর মূল অক্ষত থাকে। চারা গাছটিকে কোনও মন্দির বা উন্মুক্ত স্থানে প্রতিস্থাপন করুন। যে জায়গায় গাছটি জন্মাল, সেখানে আবার যাতে না জন্মায়, তার জন্য কিছু প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে।
পাঠকদের প্রতি: প্রতিবেদনটি জ্যোতিষশাস্ত্রের গণনার ভিত্তিতে লেখা হয়েছে। এখানে লেখা সব কথা আগামী দিনে সত্য প্রমাণিত হবে, এমন দাবি করা হচ্ছে না। জ্যোতিষশাস্ত্র সংক্রান্ত কোনও প্রশ্ন বা কোনও সমস্যার সমাধানের জন্য পেশাদার জ্যোতিষীর সঙ্গে আলোচনা করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।