জিম্বাবোয়ে সিরিজে ভারতীয় দলে ডাক পেয়েছেন রিয়ান পরাগ। রাজস্থান রয়্যালস দলের হাই পারফরমেন্স সেন্টারে অনুশীলনের সময় তাঁর কাছে খবর আসে জাতীয় দলে ডাক পাওয়ার। এরপর তিনি বলেন,‘ভারতীয় দলের ডাক পাওয়ার খবর আমার কাছে আনন্দের,গর্বের এবং আবেগের।আমি ক্রিকেট খেলা শুরু একটাই লক্ষ্য নিয়ে,তা হল জাতীয় দলের হয়ে খেলা’
রিয়াল পরাগ। ছবি- পিটিআই
আইপিএলে দুরন্ত ছন্দে ছিলেন রিয়ান পরাগ। কিন্তু এতদিন জাতীয় দলের হয়ে খেলার সুযোগ হয়নি এই ক্রিকেটারের। দীর্ঘদিন ধরে ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো পারফরমেন্স করার পরেও দলে সুযোগ না পাওয়ায় যথেষ্ট অভিমানি ছিলেন অসমের এই ক্রিকেটার। মাত্র ২২ বছর বয়সেই এই ক্রিকেটারের জেদ এতটাই বেশি ছিল যে ভারতীয় দলে ডাক না পাওয়ার জন্য টি২০ বিশ্বকাপে দলের খেলা দেখবেন না বলেও জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। সেই রিয়ান পরাগকেই অবশেষে জিম্বাবোয়ে সিরিজের জন্য ভারতীয় দলের স্কোয়াডে রাখা হয়েছে। ভারতীয় দলে ডাক পাওয়ার পর অবশেষে নিজের অনুভূতির কথা জানালেন আইপিএলে রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে খেলা অসমের এই ক্রিকেটার।
অসমের এই ক্রিকেটার রাজস্থান রয়্যালসের হাই পারফরমেন্ট ট্রেনিং সেন্টারে বর্তমানে অনুশীলন করছেন। সেখানেই তিনি জানতে পারেন স্কোয়াডে ডাক পাওয়ার কথা। এরপর রাজস্থান রয়্যালসকে এক ভিডিয়ো বার্তায় তিনি বলেন, ‘জাতীয় দলে ডাক পাওয়ার খবর আমার কাছে আনন্দের , গর্বের এবং আবেগের। আমি ক্রিকেট খেলা শুরু করেছিলাম একটাই লক্ষ্য নিয়ে, সেটা হল ভারতের জাতীয় দলের হয়ে খেলা ’। তাঁর বক্তব্যের ভিডিয়ো পোস্ট করেছে আইপিএলে রিয়ানের দল রাজস্থান রয়্যালস।
রাজস্থান রয়্যালসের দেওয়া সেই পোস্টে দেখা যাচ্ছে নিজের বক্তব্য রাখার পর রাজস্থানের জার্সি গায়ে পড়েই জাতীয় দলের জার্সি হাতে তুলে নিয়েছেন রিয়ান পরাগ। অর্থাৎ দেশের হয়ে খেলতে নামার জন্য আর এক মূহূর্ত অপেক্ষা করতে পারছেন না তিনি। বলাই বাহুল্য, ২০২৭ সালের ওডিআই বিশ্বকাপের আগে ২০২৫ এবং ২০২৬ সাল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জুনিয়র ক্রিকেটারদের কাছে। কারণ এই দুই বছরই জাতীয় দলের হয়ে ধারাবাহিকভাবে ভালো খেললে ওডিআই বিশ্বকাপে সুযোগ পাবেন তাঁরা। এদিকে ২০২৬ সালে দেশের মাটিতে রয়েছে টি২০ বিশ্বকাপও। সেখানে সুযোগ পেতে তাই এখন থেকেই আঁটঘাট বেধে নেমে পড়তে তৈরি হচ্ছেন অভিষেক শর্মা, রিয়ান পরাগরা।