শহর জুড়ে পুজোর আলো। বঙ্গবাসী মেতে দুর্গোৎসবে। কিন্তু এমন বহু বাঙালি আছেন যাঁরা কাজের সূত্রে দেশের বাইরে থাকেন। কিন্তু প্রবাসে থাকলেও পুজোর সময় তাঁদের মনটা পড়ে থাকে দেশেই। দেশের মাটি তাঁদের টানে। কিন্তু মন যতই টানুক তাও অনেক সময়ই নানা কারণে পুজোয় দেশে এসে পৌঁছতে পারেন না তাঁরা। কিন্তু তাতে কী যেখানে থাকেন সেই জায়গাতেই নিজেদের মতো করে উদযাপনে মেতে ওঠেন। কেউ কেউ মাতৃ আরাধনার আয়োজন করেন। আবার জার্মানির হামবুর্গ শহরের প্রবাসীদের মতো কেউ কেউ গানে গানেই মাতেন মাতৃবন্দনায়।
আরও পড়ুন: পল্লবীর নতুন মেগা 'তারে ধরি ধরি মনে করি'র প্রথম প্রোমো এল প্রকাশ্যে! নায়কের ভূমিকায় কে থাকছেন?
জার্মানির হামবুর্গ শহরের বিভিন্ন প্রবাসীরা মিলে পুজো উপলক্ষ্যে এক বিশেষ আয়োজন করেছেন। তাঁরা বিদেশের মাটিতেই করেছেন মাতৃবন্দনা। আর সেই সুর ধ্বনিকে সংরক্ষণ করেছেন ভিডিয়োর আকারে। ইউটিবের মাধ্যমে আপনারাও সামিল হতে পারেন তাঁদের সেই উদযাপনে। তাঁরা মহিষাসুরমর্দ্দিনীর 'জয় জয় জপ্য জয়ে' গানটি একেবারে নতুন আঙ্গিকে উপস্থাপন করেছেন। এই গানটি হামবুর্গের জনপ্রিয় কিছু পর্যটন স্থান যেমন স্পাইচের্স্ট্যাড, এলবফিলহারমোনি, ল্যান্ডুংসব্রুকেন, প্লান্টেন আন্ড ব্লুমেন, ল্যামারটভিয়েট, ফিশবেকার হাইডের মতো জায়গায় শ্যুট করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: এই সব বিশেষ মানুষদের সঙ্গেই পুজো কাটাতে ভালোবাসেন মণীষা! জানেন তাঁরা কারা?
আরও পড়ুন: পুজোর আড্ডা দিতে দিতেই মেয়ে কাব্যকে চুল বেঁধে দিলেন মা কোয়েল! ছেলে কাব্যকে শেখালেন শাঁখ বাজানো
হামবুর্গের প্রবাসী বাঙালি তৃষিতা বন্দোপাধ্যায় এই প্রসঙ্গে জানান, তাঁরা পুজোর গান দিয়ে শুরু করলেও ভবিষতে তাঁদের ইচ্ছে রয়েছে বাংলার নানা সংস্কৃতি তা রবীন্দ্রসঙ্গীত হোক বা লোকগান সবটাই তাঁরা আনতে চান শ্রোতা তথা দর্শকদের জন্য।
আরও পড়ুন: কেক কেটে, ভক্তদের সঙ্গে সেলফি তুলে জন্মদিনের উদযাপন করলেন প্রসেনজিৎ! কত বয়স হল নায়কের?
গানটিতে কন্ঠ দিয়েছেন অর্চি সাহা, অর্ঘ্যদীপ মন্ডল, অরুণাভ বন্দ্যোপাধ্যায়, চিন্ময় ভট্টাচার্য, চুমকি পাল, মৃদুল রায়, নওশের আহমেদ সিকদার, পল্লবী রায়, প্রিয়ামা ভট্টাচার্য, স্মিতা ভট্টাচার্য, সুমিত রায়, তৃষিতা বন্দোপাধ্যায়। ধারণা, ডিজাইন এবং বাস্তবায়ন করেছেন সুমিত রায়ের। তাছাড়াও কোক স্টুডিও বাংলার বিশিষ্ট ব্যক্তিরাও এই গানটিতে সহযোগিতা করেছেন।