পুজো মানেই দেদার পার্টি। আর অনেকসময়ই দেখা যায় মদ্যপানের পর অনেকেই হ্যাংওভারে ভোগেন। অর্থাৎ, মাথা ভার হয়ে থাকা, বমি বমি ভাব, শরীর দুর্বল লাগা অথবা মাথা ব্যথা। আর এসব থাকা মানেই পার্টির পরের দিনটা আর কোনো কাজেই মন বসে না। তবে এই হ্যাংওভারকে তো আর পুজো নষ্ট করতে দেওয়া যায় না। কয়েকটি টোটকাতেই আপনি হ্যাংওভার কমাতে পারেন।
১. ডিহাইড্রেশন:
মদ্যপানের ফলে শরীরে জলশূন্যতা তৈরি হতে পারে। তাই মদ খাওয়র সময়ই পর্যাপ্ত জল পান করা উচিত। এমনকী, ধীরে ধীরে মদ্যপান করলেও হ্যাংওভার কম হয়। পরেরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে উষ্ণ জলের সঙ্গে সামান্য নুন মিশিয়েও তা পান করতে পারেন। এক টুকরো লেবুর রস মিশিয়ে নিন।
২. ক্যাফেইন
ক্যাফেইনও হ্যাংওভার কাটাতে সাহায্য করে। কড়া করে বানানো লাল চা বা ব্ল্যাক কফি পান করুন। তবে এক্ষেত্রে চা বা কফি কোনোটাতেই চিনি মেশাবেন না। আদা চা কিংবা পুদিনা চাও পান করতে পারেন।
৩. সুষম প্রাতঃরাশ
অতিরিক্ত অ্যালকোহল শরীর থেকে সোডিয়াম, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়ামের মতো খনিজ বের করে দেয়। তাই সকালের ব্রেকফাস্ট ঠিক রাখতে হবে আপনাকে। গোটা ডিম রাখুন ডায়েটে। ড্রাই ফ্রুটস বা সিডস খেতে পারেন। বিভিন্ন সবজি দিয়ে বানানো স্যুপও পান করতে পারেন।
৪. ফার্মেন্টেড খাবার
হ্যাংওভারের কারণে অনেকেরই সারাদিন বমি বমি ভাব থাকে। পেটেও অস্বস্তি হয় প্রবল। সেজন্য আদা চায়ে চুমুক দিলে ভালো উপকার পেতে পারেন। এদিকে ফার্মেন্টেড খাবারও ইমিউনিটি বাড়াতে সাহায্য় করে এবং হজমশক্তি বাড়ায়।
৫. ডাবের জল
ডাবে চুমুক লাগান। ডাবের জলে থাকা ইলেক্ট্রোলাইটস শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে। সঙ্গে আপনার শরীরে তৈরি হওয়া সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের ইমব্যালেন্সও ঠিক করে।