পুজোর ঢাকে কাঠি পড়ে গিয়েছে। আকাশ বাতাস জানান দিচ্ছে মা আসছেন। পাড়ার ক্লাবে ক্লাবে পুজোর শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি এখন তুঙ্গে। মহালয়ার ভোরে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের কন্ঠে ইতিমধ্যেই চন্ডীপাঠ শুনে বাঙালির শারদীয়ার শুভ সূচনা হয়ে গিয়েছে। আর এই পুজো মানেই তো মিষ্টি মুখ। বিশেষ করে মিষ্টি ছাড়া বিজয়া দশমীর কথা ভাবাই যায় না। বাজারে নানা রকম মিষ্টি অবশ্য কিনতে পাওয়া যায় কিন্তু নিজে হাতে বানানো বাড়িতে বানানোর মিষ্টির স্বাদই আলাদা। সেরকমই কিছু অভিনব মিষ্টির রেসিপি রইল আপনার জন্য।
নারকেলের বরফি বানিয়ে নিতে পারেন। এর জন্য উপকরণ লাগবে।
১ কাপ নারকেল কোরানো
দেড় কাপ চিনি
হাফ কাপ গুঁড়ো দুধ
১/৪ কাপ ময়দা
১/৪ কাপ ঘি
নারকেল কুড়িয়ে রাখতে হবে। চিনি গুঁড়ো করে নিতে হবে। তারপর নারকেল আর চিনি গুঁড়ো মিশিয়ে নিতে হবে। নারকেল চিনি ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে, কড়াইতে দুধ গরম করতে হবে। দুধ গরম হয়ে গেলে তাতে নারকেল চিনির মিশ্রনটা ঢেলে ভালো করে নাড়তে হবে। দুধ নারকেল যখন মিশে যাবে তখন দিতে হবে গুঁড়ো দুধ। সামান্য ময়দাও দিতে হবে। মিশ্রনটা শুকনো করে নিতে হবে। তারপর তা নামিয়ে ঠান্ডা করে অল্প করে নারকেলের পুর নিয়ে ডিম্বাকৃতি মতো গড়ে নিতে হবে। তারপর কড়াইতে ঘি দিতে হবে। আমি অল্প ঘি তে তা ভেজে নিতে হবে। তাহলেই তৈরি হয়ে যাবে নারকেলের বরফি।
এছাড়াও নারকেল দিয়ে গঙ্গাজলি নাড়ু বানিয়ে নিতে পারেন। এর জন্য উপকরণ লাগবে।
নারকেল বাটা বা কোরা – ১ কাপ
চিনি – ১ কাপ
জল– ১/২ কাপ
ছোটো এলাচ – ৪ টি
নারকেল বেটে নিতে হবে, চাইলে কুরিয়েও নিতে পারেন। বাটার সময় এতে জল দেওয়া যাবে না। এবার কড়াইয়ে খুব কম আঁচে চিনি এবং জল দিয়ে রস তৈরি করে নিতে হবে। এতে মিশিয়ে সামান্য এলাচ মেশাতে পারেন। এবার চিনির রস গাঢ় হলে এলাচগুলো ফেলে তাতে নারকেল বাটা দিয়ে নেড়ে নিন। খেয়াল রাখতে হবে, চিনি যেন ক্যারামেলাইস্ না হয়ে পড়ে। এবার এতে এক চিমটে কর্পূর মিশিয়ে একটা বড় ট্রে বা থালায় ঢেলে শুকিয়ে নিতে হবে। তারপর তা আরও একবার ব্লেন্ডারে বেটে গুঁড়ো পাউডারের মতো তৈরি করতে হবে। অনেকে এই গুঁড়োই মিষ্টি হিসেবে পরিবেশন করতে পারেন। ইচ্ছে হলে নাড়ু পাকিয়ে নিতে পারেন।