মানুষ প্রায়শই ধরে নেয় তারকা সন্তান মানেই সে প্রচুর প্রাচুর্যের মধ্যে বড় হয়েছে। তাঁর জন্য অনেক টাকা খরচ করা হয়েছে। তবে, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ছবিটা ভিন্ন হয়। এখানে, এমনই একজন তারকার বিষয়ে কথা বলা হয়েছে যাঁর বাবার ২৭টা গাড়ি ছিল, কিন্তু সেই গাড়িতে ওঠার অনুমতি ছিল না তাঁর। যতক্ষণ না তিনি নিজের পায়ে দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছেন, তার বাবা তাঁকে আর পাঁচজনের মতোই লালন-পালন করেছেন। আন্দাজ করতে পারছেন তিনি কে? তিনি হলেন মাহমুদের ছেলে লাকি আলী।
আরও পড়ুন: ‘আমার সঙ্গে ৩০ বার…’! অমিতাভের সঙ্গে কাজ ঋতুপর্ণর ছবিতে, অভিজ্ঞতা ভাগ করলেন যিশু
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে লাকি আলি জানান যে, তাঁর বাবা এবং মায়ের বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছিল। মাহমুদ লাকিকে ছোটবেলায় বোর্ডিং স্কুলে পাঠিয়েছিলেন। তিনি কেবল ছুটির দিনে তাঁর বাবার সঙ্গে দেখা করতেন। তিনি তাঁর সঙ্গে কথা বলতেন, শ্যুটিংয়ে যেতেন এবং তাঁর মায়ের সঙ্গে সময় কাটাতেন। লাকি বলেন, ‘আমি আমার বাবার খুব কাছের ছিলাম। আমার মা দূরে থাকতেন। কিশোর বয়সে পৌঁছানোর পর থেকে আমি আমার মায়ের সঙ্গে বেশি কথা বলতে শুরু করি।’
আরও পড়ুন: মুখে লাজুক হাসি, একে-অপরের চোখে হারালেন সৃজিত-সুস্মিতা! ছবি ফের প্রশ্ন তুলল, ‘প্রেম কি সত্যি নেই?’
আরও পড়ুন: হলে রমরমিয়ে চলছে রঘু ডাকাত, পিছিয়ে পড়ছে রক্তবীজ ২! বক্স অফিসে কোন ছবির আয় কত?
লাকি আলি আরও জানান যে, তাঁর বাবা খুব কঠোর ছিলেন, তিনি বলেন, ‘আমি ২১ বছর বয়স পর্যন্ত কখনও ডেটে যাইনি। বাড়ি ফেরার সময় ছিল ৬টা। এরপর কেউ বাইরে যেতে পারত না।’

লাকি জানান যে, তাঁর বাবা সব সময় তাঁর জন্য মঙ্গল কামনা করতেন। তিনি বললেন, 'তিনি আমার জন্য প্রয়োজনের চেয়ে বেশি কিছু করেননি। যেমন ওঁর ২৭টি গাড়ি ছিল কিন্তু আমাকে একটিও স্পর্শ করতে দিতেন না। আমার একটাও চালানোর অনুমতি ছিল না। ওঁর একটি কর্ভেট ছিল যা আমি চালাতে চেয়েছিলাম। তিনি বলতেন, নিজের টাকা আয় করলে এটা কিনবে। তিনি আমাকে সকালে ৫ টাকা দিতেন এবং সন্ধ্যায় হিসাব চাইতেন। আমি বাসে করে যাতায়াত করতাম। কিন্তু জীবনে কিছু অর্জন করার সঙ্গে সঙ্গেই তিনি আমাকে সম্পত্তির মতো দায়িত্বও দিতে শুরু করেন।'