একটি সাংবাদিক সম্মেলন গোটা বলিউডকে কাঁপিয়ে দিয়েছিল। এমন একটি ত্রিকোণ সম্পর্ক, যা নিয়ে চর্চা এখনও। বলিউডের কুখ্যাত ঘটনাগুলির মধ্যে অন্যতম হয়ে রয়েছে, দুই দশক পার করেও। আর এর কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল তিনটে নাম-- বিবেক ওবেরয়, সলমন খান ও ঐশ্বর্য রায়।
সেইসময় বিবেক এবং ঐশ্বর্য রাই, প্রেম করছিলেন বলে গুজব ছিল। সলমন খানের সঙ্গে বেশ তিক্ততার সঙ্গেই শেষ হয়েছে রাই সুন্দরীর সম্পর্ক। ২০০৩ সালে আচমকাই এক সাংবাদিক বৈঠক ডাকেন বিবেক। সলমন তাঁকে হুমকি দিচ্ছে বলে ফোন করেন। এর জল গড়ায় অনেকদূর। এমনকী, সলমন খান বিবেক ওবেরয়ের কেরিয়ার তারপর সম্পূর্ণ নষ্ট করে দেন বলেও শোনা যায়। একের পর এক কাজ হারান বিবেক। শুধু তাই নয়, এসবের পর বিবেকের পাশে দাঁড়াননি ঐশ্বর্য। বরং তিনিও নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন।
সম্প্রতি প্রখর গুপ্তার সঙ্গে এক কথোপকথনে এই নিয়ে কথা বলেন বিবেক। অভিনেতা জানান, ‘আমি জীবনে খুব সংবেদনশীল ও আবেগপ্রবণ মানুষ। আমি হৃদয় ভাঙার ভয়ে বাঁচতে চাই না কারণ আমি ইতিমধ্যে সেরকম অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছি। আমি এটি অনুভব করেছি, এটি একটি খুব ভয়ঙ্কর, একাকী এবং বিচ্ছিন্ন জীবন।’
বিবেক আরও যোগ করেছেন, ‘আপনাকে আবার খোলামেলা হতে হবে, আবার ভালোবাসতে হবে এবং আবার অনুভব করতে হবে’। সাংবাদিক সম্মেলন নিয়ে যে ব্যাপক বিতর্কের পাহাড় উঠেছিল তা নিয়ে অভিনেতা বলেন, ‘আজব ব্যাপার হল, যখন ওরকম ঝামেলা হয়, মাথায় পাহাড় ভেঙে পড়ে সমস্যার, ওটাকে সবচেয়ে বড় মনে হয়। কিন্তু আমার এখন মনে হয় ঈশ্বর আপনার সেই সময়ের সমস্যা দেখে ভাবেন, বাচ্চা এটা একটা ছোট্ট জিনিস। আমি তোকে আরও শক্ত করে তুলব।’
এমনকী নিজের সাংবাদিক বৈঠক ডাকার সেই সিদ্ধান্তকে ছেলেমানুষি বলেও মনে করেন বিবেক এখন। জানালেন, ‘পরে বোঝা যায়… আমি এখন এটাকে অপরিপক্ক বলে মনে করি। ওই সময়ের যে তিক্ততা ছিল, যে ক্ষত ছিল, তা আমি ভুলে গিয়েছি।’
কাজের সূত্রে, বিবেক ওবেরয়কে শেষবার দেখা গিয়েছিল 'কেশরী বীর' ছবিতে, যা এই বছরের শুরুতে মুক্তি পেয়েছিল। এরপর মাস্তি - এ অভিনয় করবেন বিবেক অগ্নিহোত্রী।