ভারতে যা প্রতিভা রয়েছে, তাতে বিরাট-রোহিতের শূন্য়তায় ভুগবে না দল! বলছেন পন্টিং

মাঝে আর মাত্র কয়েকদিনের অপেক্ষা। তারপরই শুরু হয়ে যাচ্ছে বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মাহীন ভারতীয় টেস্ট ক্রিকেটের জামানা। বলা ভালো, এই অভ্যাসই যে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে ভারতীয় ক্রিকেট দলের খেলোয়াড় এবং সমর্থকদের করতে হবে, সেটাও বোঝা যাচ্ছে। আগেই টি২০ থেকে দুই তারকা সরে দাঁড়িয়েছিলেন, আর ইংল্যান্ড সফরের আগেই দুই কিংবদন্তি ব্যাটার টেস্ট থেকেও অবসর নেন। খেলছেন তাঁরা একমাত্র ওডিআই ফরম্যাটে। ভারতীয় দলের দুই প্রাক্তন টেস্ট অধিনায়কের একই সঙ্গে প্রায় অবসর নেওয়ায় শুভমন গিলের হাতে ক্যাপ্টেন্সির দায়ভার উঠেছে বটে, তবে বুঝতে হবে যে সিরিজটা কিন্তু ইংল্যান্ডে। ফলে নিজেদের ঘরের মাঠে হলে অন্তত যে চেনা পরিবেশের সুযোগ পেলেন লোকেশ রাহুলরা, সেটা বেন স্টোকসদের বিরুদ্ধে ইংল্যান্ডের মাটিতে একদমই পাবেন না তাঁরা। ফলে গিলকে স্রেফ ভালো ক্যাপ্টেনসিই নয়, নিজের ব্যাটে যেমন রান পাওয়াতে হবে, তেমনই জসপ্রীত বুমরাহকেও সুস্থভাবে দেশে ফেরাতে হবে। অতিরিক্ত বোলিং করাতে চাইলে, সেটা আর সম্ভব নয় এখন। দীর্ঘদিন ধরেই আইপিএলের দলের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার জোড়া বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক রিকি পন্টিং। ভারতের আইপিএল দলের কোচিংয়ের পাশাপাশি বিশেষজ্ঞ, কমেন্টেটার হিসেবেও কাজ করায় রিকি সামনে থেকেই দেখছেন ভারতীয় ক্রিকেটের বর্তমান প্রজন্মকে এবং তাঁদের ট্রানজিশন পিরিয়ডকে। এবার কোহলি রোহিতদের অভাব ইংল্যান্ডে ভারতীয় দল কীভাবে মেটাবে, বা কতটা টের পাবে সেই নিয়েই আইসিসি রিভিউ অনুষ্ঠানে কথা বললেন পন্টিং।সেখানেই অজি তারকা বলেছেন, ‘এটা সব সময়ই কঠিন ওধের মতো ক্রিকেটারদের বদল খোঁজা, যারা এত দীর্ঘদিন ধরে সার্ভিস দিয়ে গেছে টেস্ট ক্রিকেটে। কিন্তু কোনও দেশ যদি ওদের শূন্যরা দ্রুত ভরাট করতে পারে, তাহলে সেটা ভারতই। কারণ ওদের দেশে প্রচুর প্রচুর যুব প্রতিভা রয়েছে। আমি প্রায় ১০ বছর ধরেই আইপিএলে দেখে আসছি, যে যশস্বী জসওয়ালের মতো ক্রিকেটাররা উঠে আসছে। আর তাঁরা আন্তর্জাতিক পর্যায় গিয়েও ভালো পারফরমেন্স করছে ’।পন্টিং অবশ্য স্বীকার করে নিচ্ছেন, শূন্যতা ভরাট করা গেলেও বিরাট-রোহিতের অভিজ্ঞতার অভাব থাকবেই। তিনি বলছেন, ‘আমার মনে হয় দক্ষতার বদল করাটা বা শূন্যতা ভরাট করাটা সম্ভব, যেটা ভারত করতে পারবে। তবে অভিজ্ঞতার অভাব কিন্তু তাঁদের টের পেতেই হবে। শুভমন গিলের মতো যুব অধিনায়কের পাশে লোকেশ রাহুল, বুমরাহ রয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে বা ট্রানজিশন অধ্যায়টা ভারতই ভালোভাবে সামলাতে পারবে ’।