ভারতীয় ক্রিকেট দল সম্প্রতি টি২০ বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। ২০২৩ সালের নভেম্বরের অপূর্ণ স্বপ্নই পূরণ হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে। ভারতের মাটিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ফাইনাল হেরে ২০২৩ ওডিআই বিশ্বকাপ হাতছাড়া হয় ভারতের। প্রায় ৯ মাস কেটে গেলেও এখনও সেই জ্বালা জুড়ায়নি ভারতের। অস্ট্রেলিয়াকে টি২০ বিশ্বকাপে হারিয়ে ছিটকে দিয়েছিল টিম ইন্ডিয়া। এরপর আশা করা হয়েছিল হয়ত সেই পুরনো ক্ষতয় মলম লেগেছে, যদিও ভারতীয় দলের প্রাক্তন কোচ রাহুল দ্রাবিড়ের কথায় এখনও সেই ফাইনালের দিনের আক্ষেপ যাচ্ছে না। ট্রাভিস হেডকে আউট করতে পারলেই ম্যাচের রং বদলে যেতে পারত, কিন্তু সেটা না হওয়াতেই দেশের মাটিতে বিশ্বকাপ জয়ের সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া হয়েছে ভারতের, মনে করছেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল।
আরও পড়ুন-মরশুমের প্রথম বড় ম্যাচ যোগীর রাজ্যে! ২ সেপ্টেম্বর মুখোমুখি মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল…
ভারতের বিপক্ষে ওডিআই বিশ্বকাপের ফাইনালে ট্রাভিস হেডই শতরান করেছিলেন। একটা সময় স্মিথ, মার্শদের উইকেট নিয়ে ভারতকে খেলায় ফিরিয়েছিলেন বুমরাহ, শামিরা। কিন্তু সেখান থেকেই ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলেন অজিদের ওপেনার। সেই নিয়েই রাহুল দ্রাবিড় বলছেন, ভাগ্য সহায় ছিল না সেদিন, সেই কারণেই হারতে হয়েছিল ভারতীয় দলকে।
আরও পড়ুন-ডুরান্ড কাপের শেষ আটে জিতলে কলকাতাতেই সেমিফাইনাল খেলবে মোহনবাগান! একটি সেমিফাইনাল সরল শিলংয়ে…
রাহুল দ্রাবিড় বলছেন, ‘সেদিন যেটা হয়েছিল, সেটা হল আমরা ট্রাভিস হেডকে প্রায় ১৫বার বিট করেছিলাম। কিন্তু একবারও ও ব্যাট ছোঁয়ায়নি। তুমি জানো তোমার অনুকুলে বিষয়গুলো থাকবে যদি একই প্ল্যানিংয়ে এগিয়ে চল। আমরা সেই মতোই কাজ করেছিলাম, বোলাররা নিজেদের সেরাটাই দিয়েছিল। কিছু সময় থাকে যখন সব কিছুই ঠিক করতে হয়, সেটা করার পরেও যেটা দরকার সেটা হল ভাগ্য। দিনের শেষে ভাগ্য থাকাটা খুব জরুরি। যতই দক্ষতা থাকুক না কেন ক্রিকেটারদের মধ্যে, কিন্তু ভাগ্য সব সময়ই দরকার লাগে। ’।
আরও পড়ুন-কলকাতা লিগে মহমেডান-সুরুচি সঙ্ঘ ম্যাচ ভেস্তে গেল বৃষ্টিতে! পিছিয়ে গেল… মোহনবাগানের ম্যাচ..
যেভাবে ভারতীয় দল গত এক দশের বেশি সময় ধরে বিশ্বক্রিকেটে দাপট দেখিয়েছে তাতে খুশি দ্রাবিড়। তাঁর কথায়, ‘আমি ২০১১-১২তে খেলা থেকেছি, সেই থেকে ভারতীয় দল নিজেদের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে আসছে। গত ১২ বছর ধরে ভারতীয় দল যেভাবে সাফল্য পেয়ে আসছে আমরা খেলা ছাড়ার পর থেকে সেটা এক কথায় অনবদ্য। আমরা শেষ কয়েকবছর ধরেই হয় এক নয় দুই নম্বরে থেকেছি। যে কোনও দলের বিরুদ্ধে খেলতে নেমে জেতার জন্য প্রস্তুত, এই মানসিকতাটা ভারতীয় দলের ইতিবাচক দিক ’।