জনি বেয়ারস্টোর আউট নিয়েই সম্প্রতি মুখ খুলে অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক প্যাট কামিন্স এক সাক্ষাৎকারে বলছেন, ‘ক্যামেরন গ্রিন একটা বাউন্সার দেয় ৫২তম ওভারের শেষে, বল ছেড়ে দেওয়ার পর বেয়ারস্টো ক্রিজ থেকে বেরিয়ে আসে, তাই আমি অ্যালেক্স ক্যারিকে বলেছিলাম থ্রো করতে,ক্যারি থ্রো করে আউট করে।এটা আউট ছিল
অ্যাশেজে টেস্টে অস্ট্রেলিয়া দলের মধ্যমণি প্যাট কামিন্স। ছবি- আইসিসি।
২০২৩ অ্যাশেজের বিতর্কিত ঘটনা নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। গত অ্যাশেজ ২-২ ফলে অমিমাংসিত ছিল। ফলে ঐতিহ্যের অ্যাশেজ ধরে রাখে অজিরা। এরই মধ্যে দ্বিতীয় টেস্টে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটাররা শিরোনামে উঠে এসেছিলেন এক বিতর্কিত ঘটনায়। অবশ্য অজিদের কাছে এই ঘটনা মোটেই অস্বাভাবিক নয়। জনি বেয়ারস্টোকে দ্বিতীয় টেস্টে যেভাবে আউট করেছিলেন অ্যালেক্স ক্যারি, তাতে সমালোচনা শুরু হয়েছিল বিশ্বক্রিকেটে। স্পোর্টসম্যান স্পিরিটের নূন্যতম জায়গা রাখেননি কামিন্সরা, সমালোচনা করে বলেছিলেন প্রাক্তন ক্রিকেটাররাও। এরই মধ্যে অ্যাশেজ সিরিজের সেই বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়ে মুখ খুললেন অজি অধিনায়ক প্যাট কামিন্স,বুক ঠুকেই কিন্তু তিনি দাবি করছেন সেদিনের সিদ্ধান্ত ঠিক ছিল।
গতবছর জুলাইতে দ্বিতীয় টেস্টে ইংল্যান্ডের সামনে জয়ের টার্গেট ছিল ৩৭১ রান। ইংরেজ ব্যাটার জনি বেয়ারস্টো ১০ রানে খেলছিলেন। বল ডেড হয়ে গেছে ভেবে তিনি ক্রিজ থেকে বেরোতেই তাঁকে স্টাম্প করে দেন উইকেটরক্ষক অ্যালেক্স ক্যারি। সেই ম্যাচে ৩২৭ রানে ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংস থেমে গেলেও জনির সেই আউটের পর আলাদা উদ্যমে পরের ম্যাচ থেকে মাঠে নামে রুট, বেয়ারস্টোরা। পরের তিনটির মধ্যে ২টি টেস্ট জিতে সিরিজে সমতা ফেরায় ইংরেজরা। এই আউটের পর ম্যারিলিবোন ক্রিকেট ক্লাবের সদস্যদের তরফে লর্ডসের স্টেডিয়ামের লং রুমে তুলোধনা করা হয় অজি ক্রিকেটারদের। যদিও কামিন্সসহ অস্ট্রেলিয়ানদের দাবি ছিল, এই আউট নিয়ম বিরুদ্ধে নয়।
এই আউট নিয়েই সম্প্রতি মুখ খুলেছেন অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়কসহ বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার। প্যাট কামিন্স এক সাক্ষাৎকারে বলছেন, ‘ক্যামেরন গ্রিন একটা বাউন্সার দেয় ৫২তম ওভারের শেষে, বল ছেড়ে দেওয়ার পর বেয়ারস্টো ক্রিজ থেকে বেরিয়ে আসে, তাই আমি কেজকে (অ্যালেক্স ক্যারিকে) বলেছিলাম থ্রো করতে, ক্যারি থ্রো করে আউট করে। এরপর লং রুমে যাওয়ার সময় অনেক কথা শুনতে হয়েছে। কিন্তু এটা আউট ছিল ’ ।
আরেক অজি ক্রিকেটার উসমান খোয়াজা বলেছেন, ‘একজন আমায় কটুক্তি করছিল। আমার মনে হচ্ছিল, কেউ এরকমভাবে কথা বলতে পারেনা আমার সঙ্গে, তবে আমার খারাপ লাগছিল ক্যারির জন্য। কারণ সকলেই ওকে দোষারোপ করছিল, ওর পরিবারকে অনেক অপমান কটুক্তি শুনতে হয়েছে’। অ্যালেক্স ক্যারিকে এরপর সোশাল মিডিয়ায় এত অপমান করা হয়, যে বাধ্য হয়ে তাঁরা সাইবার সেলে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। অ্যালেক্স ক্যারি সেই সাক্ষাৎকারে বলছেন, ‘ আমরা অবাক হয়ে গেছিলাম, যে সকলে আমায় খারাপ কথা বলছে। গালাগাল করছে, আমার পরিবারের ওপর ব্যক্তিগত আক্রমণ আনছে দেখে’। এরপর স্টিভ স্মিথও বলেছিলেন, তিনি সেই সময় ক্যারির মনের অবস্থা বুঝতে পারছিলেন, ঠিক কতটা খারাপ সময়ের মধ্যে তিনি যাচ্ছিলেন।