আসন্ন ওয়ান ডে বিশ্বকাপে ইতিবাচক পারফর্ম্যান্সের আশায় শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে প্রস্তুতি সিরিজে মাঠে নামতে চলেছে পাকিস্তানের মহিলা ক্রিকেট দল। তবে পাক ক্রিকেট বোর্ডের এই পরিকল্পনা শেষমেশ বুমেরাং হওয়ার আশঙ্কা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
২০২৫-এর ওয়ান ডে বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব রয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের হাতে। তবে পাকিস্তান তাদের সব লিগ ম্যাচ খেলবে শ্রীলঙ্কায়। এমনকি পাকিস্তান যদি নক-আউটের যোগ্যতা অর্জন করে, সেক্ষেত্রেও তারা দ্বীপরাষ্ট্রেই খেলবে নক-আউট ম্যাচ। বিশ্বকাপ খেলতে শ্রীলঙ্কায় উড়ে যাওয়ার আগে ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ৩ ম্যাচের দ্বিপাক্ষিক ওয়ান ডে সিরিজে মাঠে নামবে পাকিস্তানের মহিলা ক্রিকেট দল।
১৬ থেকে ২২ অগস্ট, লাহোরের গদ্দাফি স্টেডিয়ামে আয়োজিত হবে পাকিস্তান-দক্ষিণ আফ্রিকা ওয়ান ডে সিরিজের ৩টি ম্যাচ। যদিও তার আগে ৬ থেকে ১০ অগস্ট ডাবলিনে আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৩ ম্যাচের টি-২০ সিরিজ খেলবে পাকিস্তান। আয়ারল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ২টি দ্বিপাক্ষিক সিরিজ ও ওয়ান ডে বিশ্বকাপ ছাড়া ২০২৫ সালে পাকিস্তানের মহিলা ক্রিকেট দলের আর কোনও টুর্নামেন্ট নেই।
IND vs ENG: ৩ ম্যাচের পরে ভারত-ইংল্যান্ড টেস্ট সিরিজে সব থেকে বেশি উইকেট কাদের?
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে পাকিস্তানের ওয়ান ডে রেকর্ড মোটেও ভালো নয়। ১৯৯৭ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে মোট ২৮টি ওয়ান ডে ম্যাচ খেলেছে পাকিস্তানের মেয়েরা। জিতেছে মাত্র ৫টি ম্যাচে। তারা পরাজিত হয়েছে ২১টি ম্যাচে। দু'দলের ১টি ওয়ান ডে ম্যাচ টাই হয় এবং ১টি ম্যাচে পরিত্যক্ত হয়।
IND vs ENG: তিন ম্যাচের পরে ভারত-ইংল্যান্ড টেস্ট সিরিজে সব থেকে বেশি রান কাদের?
২০২৩ সালের শেষ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে দেয় পাকিস্তান। তবে তার আগের ৮টি ম্যাচের মধ্যে ৭টিতে পরাজিত হয় পাক দল এবং ১টি ম্যাচ টাই হয়। ২০২৩-এর আগে পাকিস্তান মেয়েদের ওয়ান ডে ক্রিকেটে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারায় ২০১৯ সালে। আরও উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, পাকিস্তান কখনও মেয়েদের দ্বিপাক্ষিক ওয়ান ডে সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারাতে পারেনি।
যার অর্থ, বিশ্বকাপের আগে ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে আন্ডারডগ হিসেবেই মাঠে নামবে পাকিস্তান। সন্দেহ নেই দক্ষিণ আফ্রিকাও পূর্ণ শক্তির দল নিয়েই পাকিস্তানের মোকাবিলা করবে। তাই এই সিরিজে ভরাডুবির মুখে পড়লে বিশ্বকাপের আগে পাকিস্তানের মনোবল দুমড়ে যেতে পারে। পাক দলের বিশ্বকাপের পারফর্ম্যান্সেও তার প্রভাব পড়তে পারে। সেই নিরিখে বলাই যায় যে, বিশ্বকাপের আগে বড়সড় ঝুঁকি নিচ্ছে পাকিস্তানের মহিলা ক্রিকেট দল।