গম্ভীর হাসলেন। কিন্তু কিছুতেই নাচলেন না! ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা ধারাভাষ্যকার নভজ্যোত সিং সিধু অনেকবার ‘ভাংড়া’-য় নাচার অনুরোধ করার পরে চূড়ান্ত লাজুকভাবে স্রেফ এক হাত তুলে দাঁড়িয়ে থাকেন গৌতম গম্ভীর। মনে হচ্ছিল যে আম্পায়াররা যেমন আউটের সিদ্ধান্ত দিয়ে থাকেন, সেরকমভাবে দাঁড়িয়ে আছেন ভারতীয় দলের হেড কোচ। যে ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। নেটিজেনরা বলতে শুরু করেছেন, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ের পরে গৌতম আর ‘গম্ভীর’ থাকলেন না। অনেকেই গম্ভীরের লাজুক আচরণে মজে গিয়েছেন। মজেছেন গম্ভীরের মুখে একরাশ হাসি দেখে।
অনেক সইতে হয়েছে গম্ভীরকে, জবাব দিলেন ট্রফি জিতে
আর গম্ভীরের মুখে সেই হাসিটা থাকারই কথা। কারণ ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ এবং অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে বর্ডার-গাভাসকর ট্রফিতে হারের জন্য তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন। উঠেছিল অনেক প্রশ্ন। আবার কলকাতা নাইট রাইডার্সের (কেকেআর) বরুণ চক্রবর্তী ও হর্ষিত রানাকে ভারতীয় দলে সুযোগ পাওয়ায় পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ শুনতে হয়েছিল।
সবকিছুর জবাব আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি হাতে তুলে দিয়েছেন গম্ভীর। সেজন্যই সম্ভবত গম্ভীরের মুখে একরাশ হাসি দেখা যায়। উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন ভারতীয় দলের ক্রিকেটার এবং সাপোর্ট স্টাফদের সঙ্গে। তারইমধ্যে সরকারি সম্প্রচারকারী সংস্থা স্টার স্পোর্টসে সিধু এবং ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার আকাশ চোপড়ার সঙ্গে কথা বলেন। সেইসময় হাসিমুখে সিধুর ‘শের’ শুনিয়ে দেন। একটা লাইন নিজে বলেন। আর তারপর বাকিটা শেষ করতে বলেন সিধুকে।
নাচতে হবে শুনেই পালানোর তাল গম্ভীরের!
তাতে যেন আপ্লুত হয়ে যান সিধু। জড়িয়ে ধরেন গম্ভীরকে। ভারতীয় দলের হেড কোচকে বলেন, ‘আগামিদিনে আরও ইতিহাস গড়ে দে। আমার একটা আর্জি আছে। বড় ভাইয়ের একটা আর্জি আছে। আজ ভাংড়া করেই ফেল।’ আর সেটা শুনেই পালানোর ফন্দি আঁটতে থাকেন গম্ভীর। ছিটকে দূরে সরে যান। 'না, না' বলতে থাকেন। তবে সিধু এবং আকাশও ছেড়ে দেওয়ার পাত্র ছিলেন না। তাঁরা টেনে আনেন গম্ভীরকে। তারপর অনেক জোরাজুরিতে আম্পায়ারের মতো আঙুল তুলে দাঁড়িয়ে থাকেন। আর ভাংড়া করতে থাকেন সিধু।