ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির বিরুদ্ধে তাঁর দুই প্রাক্তন ব্যবসায়িক সঙ্গীর দায়ের করা মানহানির মামলার শুনানি দিল্লি হাইকোর্ট সোমবার, ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত করেছে। বিচারপতি প্রতিভা এম সিংয়ের একটি বেঞ্চ বাদী পক্ষকে মামলার বিষয়ে ধোনিকে জানাতেও বলেছে।
নিঃসন্দেহে ধোনি এবং তাঁর দুই প্রাক্তন ব্যবসায়িক অংশীদারের মধ্যে বিরোধ ক্রমশ জটিল হয়ে উঠছে। এর আগে ধোনি তাঁর প্রাক্তন ব্যবসায়িক সঙ্গী মিহির দিবাকর, তাঁর স্ত্রী সৌম্যা দাস এবং তাঁদের কোম্পানি অর্ক স্পোর্টস ম্যানেজমেন্টের বিরুদ্ধে ১৫ কোটি টাকার আর্থিক প্রতারণার মামলা করেছিলেন। এর পর ধোনির বিরুদ্ধে দিল্লি হাইকোর্টে মানহানির মামলা করেন মিহির দিবাকর। এখন দিল্লি হাইকোর্টের তরফে বলা হয়েছে, ধোনিকে ই-মেল করতে। এই ই-মেলের মাধ্যমে ধোনিকে জানানো হবে যে, তাঁর দুই প্রাক্তন ব্যবসায়িক পার্টনার তাঁর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছেন।
আরও পড়ুন: T20 World Cup-এর আগে ভারতীয় দল খুব বেশি প্রস্তুতির সময় পাচ্ছে না- চিন্তায় পড়ে গিয়েছেন দ্রাবিড়
ধোনির প্রাক্তন ব্যবসায়িক অংশীদার মিহির দিবাকর এবং তার স্ত্রী সৌম্য দাস দিল্লি হাইকোর্টে ধোনির বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছিলেন। প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক দিবাকরের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন এবং তাঁকে বদনাম করার চেষ্টা করছেন, দাবি করা হয়েছিল। পাশাপাশি, তিনি আরও দাবি করেছেন যে, মাহি তাঁর থেকে কোনও টাকা পান না। বরং তিনি পাঁচ কোটি টাকা পান মাহির থেকে।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে, একটি ক্রিকেট অ্যাকাডেমিকে অর্ক স্পোর্টস ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে চুক্তি করেছিলেন টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। তবে চুক্তিতে যে শর্তগুলি ছিল, সেগুলি একেবারে মানেননি মিহির দিবাকর এবং সৌম্যা। বারবার 'আইনি নোটিশ' পাঠানো সত্ত্বেও, দেওয়া হয়নি কোনও গুরুত্ব। অবশেষে রাঁচিতে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মামলা দায়ের করেছিলেন মাহি।
এটা উল্লেখযোগ্য যে মহেন্দ্র সিং ধোনি একজন ভারতীয় পেশাদার ক্রিকেটার। তিনি একজন দুর্দান্ত উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান এবং সেরা অধিনায়কদের মধ্যে তাঁকে গণ্য করা হয়। তিনি ২০০৭ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ওডিআই এবং ২০০৮ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত টেস্ট ক্রিকেটে ভারতীয় দলের অধিনায়ক ছিলেন। এছাড়াও, ধোনি ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে খেলেন এবং অধিনায়কত্ব করেন। স্বভাবতই তাঁর বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করে, সেটা প্রমাণ না করতে পারলে, পাল্টা সমস্যায় পড়তে হবে মিহির দিবাকর এবং তাঁর স্ত্রী সৌম্যা দাসকে।