লখনউ সুপার জায়ান্টের নতুন অধিনায়ক হিসেবে ঋষভ পন্তের নাম ঘোষণা করে দিল আইপিএলের এই ফ্র্যাঞ্চাইজি। রেকর্ড অর্থে পন্তকে দলে নিয়েছিল সঞ্জীব গোয়েঙ্কার ফ্র্যাঞ্চাইজি। নিজেই নিলাম টেবিল থেকে পন্তকে দলে তুলে নিয়েছিলেন গোয়েঙ্কা। বিশাল ২৭ কোটি টাকায় তাঁকে দলে নিয়েছিল এলএসজি।
পন্তকে দলে নেওয়ার পরই সঞ্জীব গোয়েঙ্কা জানিয়ে দিয়েছিলেন পন্তকে তাঁরা যেভাবেই হোক দলে চেয়েছিল। আর সোমবার সকালেই ঋষভ পন্তকে দেখা যায় কলকাতার গোয়াঙ্কা হাউসে। তখনই অনুমান করা হয়েছিল পন্তকে অধিনায়ক ঘোষণা করার জন্যই কলকাতায় আনা হয়েছে।
সঞ্জীব গোয়েঙ্কা বললেন, ‘আমরা অপেক্ষা করছিলাম একসঙ্গেই পন্তকে পাশে নিয়ে এই ঘোষণা করার জন্য। আমাদের লখনউ সুপার জায়ান্ট দলের নতুন অধিনায়ক হচ্ছেন ঋষভ পন্ত। যখন দিল্লি ক্যাপিটালস তাঁকে ছেড়ে দেয় তখনই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে ওকে দলে নিতেই হবে। কারণ গোটা কম্বিনেশনটাই ওকে নিয়ে তৈরি হয়েছিল ’।
এরপর গোয়েঙ্কা বললেন, ‘ আমি ওর মধ্যে নেতৃত্ব দেওয়ার এক অদ্ভূত ক্ষমতা দেখেছি। যেভাবে ও দলের ক্রিকেটারদের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখে, মিলে মিশে রাখে তাতে আমার মনে হয়েছে ওর মধ্যে অধিনায়ক হওয়ার সব কিছুই রয়েছে। আর আমার মনে হয় ও আমাদের দলের শুধু নয়, আগামী দিনে সেরা অধিনায়কদের মধ্যে অন্যতম হবে। খেলায় হারজিত থাকবে। দবে জিতলেই অতিরিক্ত আনন্দ করতে হবে না, আবার হারলেও ভেঙে পড়লে হবে না। আমার মনে হয় ঋষভ পন্ত আগামী ১২-১৫ বছর খেলবে। তাই কীভাবে এর মধ্যে ৪-৫-৬টি আইপিএল জেতা যায়, সেটা দেখতে হবে’।
পন্তের প্রশংসা করে গোয়েঙ্কাবাবু আরও বলেন, ‘এখন সবাই মুম্বই আর চেন্নাইয়ের কথা বলে, সকলে মাহি আর রোহিতের নাম নেয়। কিন্তু আমার কথা মিলিয়ে নিও। আজ থেকে কয়েকবছর পর মাহি, রোহিত, ঋষভ তিনজনের নামই উঠে আসবে সেরা অধিনায়ক হিসেবে ’। যদিও পন্ত বলেন, ‘আমি আমার দুর্ঘটনার পর থেকে আপাতত প্রত্যেকটা দিন বা বছর হিসেবে দেখছি। আমি এখনই অতটা ভবিষ্যৎের কথা ভাবছি না। প্রসেস যদি ফলো করতে পারি, মাহি ভাইয়ের মতো, তাহলেই সাফল্য আসবে। কর্ণধার এরকমভাবে ভরসা করলে দলের তো ভালো হবেই, কারণ আত্মবিশ্বাসও বেড়ে যায় ’।
আরও পড়ুন-রেস্তোরাঁয় একা শ্রেয়সকে দেখে ভক্তের অনুরোধ অটোগ্রাফের! খোশমেজাজে তুললেন সেলফিও
এরপরই পন্ত বললেন, ‘যখন দলের মালিক এই ধরণের কথা বলে, তখন আত্মবিশ্বাস অনেক বেশি বেড়ে যায়। ১০০ শতাংশ থেকে ২০০ শতাংশ থেকে দিতে ইচ্ছা করে। আমি অধিনায়ক হিসেবে বলছি না, ক্রিকেটার হিসেবেও কর্ণধারের এই পাশে থাকাটা খুব বড় বিষয়। আমি জানতাম না নিলাম শুরু হয়ে গেছে। আমরা আইপ্যাড নিয়ে ঘুরছিলাম। সব ক্রিকেটারকে নিয়েই আমরা আনন্দ করছিলাম, যখন তাঁদের নাম আসছিল। আমি ভাবছিলাম, যে এতক্ষণ হয়ে গেল, আমার নাম কেন আসছে না। রোহিত শর্মা ফোন করে বলেছিল, টিভিতে দেখব, চলে আয়। আমি খুব প্রেসারে ছিলাম, দেখলাম আমার নাম এসেছে ’।