ব্যাটের ঠিক মাঝখানে বল লাগলেও ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম (ডিআরএস) নিয়েছে বাংলাদেশ। তা নিয়ে নেটপাড়ার মিমের বন্যা বয়ে গিয়েছে। আর তাতে যোগ দিল কলকাতা পুলিশও। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের সেই কীর্তির ছবি পোস্ট করে অনলাইন জালিয়াতি নিয়ে সতর্কবার্তা দেওয়া হল। শনিবার কলকাতা পুলিশের তরফে ফেসবুকে দুটি ছবির কোলাজ পোস্ট করা হয়েছে। প্রথম ছবিতে বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তকে ডিআরএস নেওয়ার ইঙ্গিত করতে দেখা গিয়েছে। আর পাশেই লেখা আছে, ‘লোভনীয় লিঙ্ক ক্লিক করার আগে...।’ আর সেই ছবির নীচে কুশল মেন্ডিসের ব্যাটের ঠিক মাঝখানে বলটা লাগার ছবি দেখিয়ে বলা হয়েছে, ‘পরে…।’
আর কলকাতা পুলিশের সেই দুর্দান্ত ছবির কোলাজ হাসিতে ফেটে পড়েছেন নেটিজেনরা। এক নেটিজেন বলেন, 'মিমার যখন পুলিশ হয়ে যান।' আবার একজন বলেন, 'কিং অফ মিম হল কলকাতা পুলিশ।' একজন আবার কলকাতা পুলিশকে আরও বড় সার্টিফিকেট দিয়ে বলেন, 'এখনও পর্যন্ত এটা সেরা হয়েছে।' একইসুরে এক নেটিজেন বলেন, ‘ট্রল পেজের অ্যাডমিন যখন ভুল করে পুলিশ হয়ে যায়।’
এমনিতে যে ঘটনা ঘটেছে, তা বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা টেস্ট সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচের প্রথম দিনে হয়েছে। চট্টগ্রামে ৪৪ তম ওভারে বল করছিলেন তাইজুল ইসলাম। গুড লেংথে বলটা পড়ে। ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে ৮৯ কিলোমিটারের বলটা ডিফেন্ড করেন কুশল। এলবিডব্লুয়ের জন্য কেউ কোনও আবেদন করেননি। কিন্তু প্রথম স্লিপে দাঁড়িয়ে থাকা বাংলাদেশের অধিনায়ক শান্ত ডিআরএস নিয়ে নেন। কিছুটা হতভম্ব হয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন বোলার। রিভিউয়ে দেখা যায় যে বলটা পুরোপুরি কুশলের ব্যাটের মাঝে লেগেছে। এতটাই ব্যাটের মাঝখানে লেগেছে যে চূড়ান্ত হাস্যকর হয়ে দাঁড়ায় রিভিউয়ের সিদ্ধান্তটা।
আর সেই ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় পুরোপুরি ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। এক নেটিজেন বলেছেন, ‘বাংলাদেশ মানেই বিনোদন। যেদিক দিয়ে তাকাবেন খালি বিনোদন আর বিনোদন পাবেন।’ এক নেটিজেন আবার বলেন, ‘এটাই সায়েন্স..! লর্ড শান্ত...!’ অনেকেই আবার বলতে থাকেন যে ‘এটা ক্রিকেটারের ইতিহাসে সর্বকালের সবথেকে খারাপ ডিআরএস।’
তারইমধ্যে প্রথম দিনের শেষে চট্টগ্রামে ৯০ ওভারে শ্রীলঙ্কার স্কোর দাঁড়িয়েছে চার উইকেট ৩১৪ রান। ১৫০ বলে ৯৩ রান করেছেন কুশল। ৮৬ রান করেন দিমুথ করুণারত্নে। ৫৭ রান করেন নিশান মধুশঙ্কা। প্রথম তিন ব্যাটার অর্ধশতরান করলেও কেউ তিন অঙ্কের গণ্ডি পার করতে পারেননি।