ইশান্ত বলছেন, ‘ এখন আর রিকি পন্টিং আমার দলের কোচ নয়, ও আমার কাছে বড় দাদার মতো। যখনই দরকার হয়, আমি ওকে পাই। যখনই প্রয়োজন হয়, ওকে ফোন করতে পারি। রিকির মতো কোচকে পাওয়া সত্যি ভাগ্যের ব্যাপার। কারণ সব সময়ই নতুন কিছু করার জন্য মোটিভেট করতে থাকে। ব্যর্থ হলেও বাড়তি চাপ দেয় না কখনও’।
ইশান্ত শর্মা। ছবি- পিটিআই
এবারের আইপিএলে শেষের দিকে চমক দেখিয়েছেন ইশান্ত শর্মা। বুড়ো ঘোড়া ইশান্ত প্রথমদিকে সাফল্য না পেলেও এবারের লিগের শেষ ল্যাপে এসে অনবদ্য ছন্দে রয়েছেন। আরসিবির বিপক্ষে বিরাট কোহলিকে আউট করেছিলেন। দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে এবারের আইপিএলে নিজেদের শেষ ম্যাচে লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিপক্ষে নিয়েছেন ৩ উইকেট। ৩৫ বছর বয়সে এসেও ১৪০কিমি প্রতি ঘন্টার গতিবেগে বোলিং করছেন ইশান্ত, যা বেশ উল্লেখযোগ্য। অনেক বিদেশি বোলারের ইকোনমি রেট যেখানে ১০-১১ পেরিয়ে যাচ্ছে, সেখানে ইশান্তের ইকোনমি রেট ৯-এর ঘরে। দিল্লি ক্যাপিটালসে মুকেশ কুমার, খলিল আহমেদদের মতো তরুণ পেসারদের সঙ্গেই সমানে সমানে পাল্লা দিয়ে বোলিং করে গেছেন ইশান্ত, হয়ত সেরকম উইকেট পাননি। কিন্তু অভিজ্ঞতা দিয়েই বের করে দিয়েছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ওভার। বরাবরই তাঁর সঙ্গে রিকি পন্টিংয়ের সম্পর্কের কথা উঠে আসে, বর্তমানে দুজনেই একই দলে রয়েছে। এবার রিকির সঙ্গেই নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানালেন দিল্লির এই পেসার।
দিল্লি ক্যাপিটালসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইশান্ত বলছেন, ‘ এখন আর রিকি পন্টিং আমার দলের কোচ নয়, ও আমার কাছে বড় দাদার মতো। যখনই দরকার হয়, আমি ওকে পাই। যখনই প্রয়োজন হয়, ওকে ফোন করতে পারি। রিকির মতো কোচকে পাওয়া সত্যি ভাগ্যের ব্যাপার। কারণ সব সময়ই নতুন কিছু করার জন্য মোটিভেট করতে থাকে। ব্যর্থ হলেও বাড়তি চাপ দেয় না কখনও’।
এরপর পাল্টা পিকি পন্টিংও ইশান্তের প্রশংসা করে বলেন, ‘ আমরা মাঠে একে অপরের বিরুদ্ধে প্রবলতর প্রতিদ্বন্দিতা ছুঁড়ে দিতাম। নিজের টেস্ট কেরিয়ারের শুরুর দিকে ইশান্ত প্রবল চেষ্টা করেছে নিজেকে প্রমাণ করার। ওয়াকায় দুরন্ত বল করেছিল, এরপর আমায় আউটও করেছিল। ইশান্ত খুব ভালো মানুষ, এখন আমাদের মধ্যে অত্যন্ত গভীর সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। একে অপরকে খুব সম্মান করি। বিগত চার পাঁচ বছর ধরে বোলিং বিভাগকে খুব ভালো নেতৃত্ব দিচ্ছে ইশান্ত’।