প্রধানমন্ত্রীকে অভিমানের সুরেই হার্দিক পাণ্ডিয়া বলেন, ‘গত ৬ মাস আমার জন্য বেশ উপভোগ্য ছিল, অনেক ওঠা নামা গেছে। যেখানেই গেছি,ফ্যানরা আমায় কটুক্তি করেছে, অনেক কিছু হয়েছে।তবে আমি সবসময়ই চাইতাম যদি কখনও জবাব দি, তাহলে মাঠেই জবাব দেব,মুখে জবাব দেব না। আমি সব সময়ই মনে করি, লড়াইয়ের ভূমি ছেড়ে পালাতে নেই'।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে হার্দিক পাণ্ডিয়া। ছবি- এএফপি
আইসিসি টি২০ বিশ্বকাপ জয়ের ক্ষেত্রে ভারতীয় দলের হয়ে বড় ভূমিকা রেখেছিলেন অলরাউন্ডার হার্দিক পাণ্ডিয়া। মুম্বইতে যেই মাঠে দিনের পর দিন কটুক্তি শুনতে হয়েছে তাঁকে, সেই মাঠেই হার্দিক হার্দিক চিৎকার শুনে কেঁদে ফেলেছিলেন এই তারকা ক্রিকেটার। ফাইনাল ম্যাচে তাঁর বোলিংই ভারতকে বিশ্বকাপ জিততে সাহায্য করেছিল। প্রথমে এনরিখ ক্লাসেন এবং শেষ ওভারে ডেভিড মিলারের উইকেটটাই ম্যাচের মোড় ঘুড়িয়েছিল। বৃহস্পতিবার দেশে ফিরে ভারতীয় দলের ক্রিকেটাররা গেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করতে, যান হার্দিকও। সেখানে গিয়েই নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে হার্দিকের মুখে উঠে আসে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সে তাঁর খারাপ সময়ের প্রসঙ্গ। রাখঢাক না রেখেই অভিমানের সুরেই মনের কথা বলেন পাণ্ডিয়া।
এবারের আইসিসি টি২০ বিশ্বকাপে ১৪৪ রান করেছিলেন হার্দিক পাণ্ডিয়া, স্ট্রাইক রেট ছিল ১৫০-র বেশি। বিরাট কোহলি, ঋষভ পন্তরা যেদিন রান পাননি সেদিন ব্যাট হাতে দলের মান রক্ষা করেছেন হার্দিকই। ফাইনাল ম্যাচে ৩ উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি পাকিস্তানের বিপক্ষে সম্মানরক্ষার ম্যাচেও নিয়েছিলেন গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। গোটা প্রতিযোগিতায় তিনি নেন মোট ১১ উইকেট, সেই সুবাদে আইসিসির টি২০ ফরম্যাটের ১ নম্বর অলরাউন্ডারও হয়েছেন হার্দিক। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে নিজের কামব্যাকের মন্ত্র শোনালেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের অধিনায়ক।
হার্দিক পাণ্ডিয়া বলেন, ‘গত ৬ মাস আমার জন্য বেশ উপভোগ্য ছিল, অনেক ওঠা নামা গেছে। যেখানেই গেছি, ক্রিকেটভক্তরা আমায় কটুক্তি করেছে, অনেক কিছু হয়েছে। তবে আমি সবসময়ই চাইতাম যদি কখনও জবাব দি, তাহলে মাঠেই জবাব দেব, মুখে জবাব দেব না। আমি সব সময়ই মনে করি, লড়াইয়ের ভূমি ছেড়ে পালাতে নেই। লড়াইয়ের জমি যেমন অনেক কঠিন পরিস্থিতি তৈরি করে, তেমনই সাফল্যও এখানেই পাওয়া যায়। তাই মনের মধ্যে ছিল মেহনত করব, নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব যতই কঠিন পরিস্থিতি আসুক না কেন। দলের কোচ, অধিনায়ক সকলের অনেক সমর্থন পেয়েছি, তারপর ভগবান তো আছেই। লাস্ট ওভারে বল করার সুযোগ পাই ’।
এরপরই মজার সুরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁকে প্রশ্ন করেন, ক্যাচটা নেওয়ার পর সূর্যকুমার যাদবকে হার্দিক কি বলেছিলেন? তখন হাসতে শুরু করেন হার্দিক, সূর্যরা সকলেই। এরপর ভারতীয় অলরাউন্ডার বলেন, ‘সূর্যকুমার ক্যাচ ধরার পর আমাদের প্রথম প্রতিক্রিয়া ছিল সবাই মিলে সেলিব্রেশন করেনি। এরপর সবার মনে পড়ে যে একবার সূর্যর থেকে জেনে নেওয়া উচিত, ক্যাচটা ঠিক ঠাক ধরেছে তো? এরপর সূর্য বলল হ্যা ঠিকই আছে। গেম চেঞ্জিং ক্যাচ ছিল ওটা, এর আগে পর্যন্ত আমরা টেনশনে ছিলাম, কিন্তু ওই ক্যাচের পর আমরা আনন্দ করার সুযোগ পাই ’।