টি২০ সিরিজেও শ্রীলঙ্কাকে তাঁদেরই দেশের মাটিতে গিয়ে হারিয়ে আসল বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। লিটন দাসদের হয়ে এই ম্যাচে দুরন্ত বোলিং করলেন স্পিনার মাহেদি হাসান। তিনি চার ওভারে একটি মেডেনসহ ৪টি উইকেট নেন। দিলেন মাত্র ১১ রান। সেই সুবাদেই প্রেমদাসা স্টেডিয়ামে হরজভন সিংয়ের দীর্ঘদিনের রেকর্ড ভেঙে দিলেন এই স্পিনার।
মাহেদির বোলিং স্পেল এতটাই ভালো ছিল যে তিনি ওপেনিং স্পেলেই পাওয়ারপ্লের মধ্যেই দুটি উইকেট তুলে নিয়েছিলেন। এছাড়াও নিজের বোলিংয়ে শ্রীলঙ্কার টপ অর্ডারের পাঁচ ব্যাটারের মধ্যে চারজনই মাহেদির স্বীকার। ২০ ওভারে ৭ উইকেটে মাত্র ১৩২ রান তোলে শ্রীলঙ্কা, যা ২১ বল বাকি থাকতেই সহজে তুলে নেয় লিটন দাসরা।
এতদিন টি২০ ফরম্যাটে প্রেমদাসা স্টেডিয়ামে কোনও সফররত বোলারদের মধ্যে সব থেকে ভালো স্পেল ছিল হরভজন সিংয়ের। তিনি ২০১২ টি২০ বিশ্বকাপে ১২ রান দিয়ে চার উইকেট নিয়েছিলেন। সেই রেকর্ড পরবর্তী সময় ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ছাপিয়ে যান, কিন্তু হাসারাঙ্গা ছিলেন নিজেই শ্রীলঙ্কার। আর বিদেশি বোলারদের মধ্যে জোস হেজেলউডন ১৬ রানে ৪ উইকেট, মুস্তাফিজুর রহমান ২১ রানে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন। কিন্তু এবার বাংলাদেশের স্পিনারই হরভজন সিংয়ের রেকর্ড ভেঙে দিলেন।
শুরুতে কুশল পেরেইরাকে আউট করেন মাহেদি, কুশল তিন নম্বরে ব্যাট করতে এসেছিলেন। ০ রানে প্রথম বলেই তিনি আউট হন দ্বিতীয় ওভারে। এরপর পাওয়ারপ্লের মধ্যেই পঞ্চম ওভারে দিনেশ চান্ডিমালকে ফেরান মাহেদি। এরপর শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক চরিথ আসালঙ্কা এবং পাথুম নিশাঙ্কাকে তিনি ফেরান সাজঘরে। এটাই ছিল মাহেদির প্রথম সিরিজ সেরার পুরস্কার। তাঁকে দলে নেওয়া হয়েছিল বর্ষিয়ান মেহেদি হাসান মিরাজের জায়গায়। কিন্তু পরিবর্ত হিসেবে সুযোগ পেয়েই নিজের জাত চেনালেন এই খেলোয়াড়, সেই সুবাদেই বাংলাদেশ রান তাড়া করে নিল ৮ উইকেট হাতে থাকতেই।