কদিন আগেই রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু দল আইপিএলে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরই চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের বাইরে গিয়ে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়। আরসিবির বিজয় উৎসবে সামিল হতে গিয়ে প্রাণ হারান ১১জন সমর্থক। আহত হন ৫০র বেশি ক্রিকেটভক্ত, যা নাড়া দিয়ে গেছে গোটা ক্রিকেট সমাজকে। সেই নিয়ে এখনও দায় ঠেলাঠেলি চলছে প্রশাসন ও আরসিবির কর্তাদের মধ্যে। কারণ কেউই এই বিষয়ে দায় নিতে নারাজ। আরসিবির মার্কেটিং কর্তা নিখীল সুশালেকে গ্রেফতার করা হলে তিনি দাবি করেন, যে তিনি রাজনীতির স্বীকার। প্রশাসনের একাংশ দাবি করেছে, যে পুলিশ অনুমতি দিতে চায়নি এই অনুষ্ঠানের। অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের বাইরে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, তা সামাল দেওয়ার অবস্থা ছিল না পুলিশের কাছেও। কারণ প্রায় ২.৫ লক্ষ সমর্থক সেখানে উপস্থিত হয়েছিল।
আর এই ঘটনার পরই এবার নড়েচড়ে বসতে চলেছে বিসিসিআই। ১৪ জুন রয়েছে বোর্ডের অ্যাপেক্স কাউন্সিলের বৈঠক। সেখানেই কর্তারা সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন এবার থেকে আইপিএল জয়ের পর ভিক্টি সেলিব্রেশনের ক্ষেত্রে কোন কোন পদক্ষেপ লাগু করা হতে পারে, যাতে এই ধরণের ঘটনার আর কখনও না ঘটে ভারতীয় ক্রিকেটে।
দর্শকদের নিরাপত্তা এবং আইনশৃঙ্খলার কথা মাথায় রেখেই বিসিসিআইয়ের এক সিনিয়র কর্তা জানিয়েছেন, ‘আইপিএলের বিজয় উৎসবের ক্ষেত্রেও একটা নিয়ম লাগু করা উচিত, যাতে বেশ কিছু বিষয়ে রাশ টানা সম্ভব হয়। সেই জন্যই আমাদের বৈঠকে আলোচনা করা হবে আগামী দিনে ’। জানা যাচ্ছে, এবার থেকে ভিকট্রি সেলিব্রেশনেও পুলিশের সাহায্যের পাশাপাশি টিকিট সিস্টেম বাধ্যতামুলক করা হতে পারে, যাতে অতিরিক্ত ভিড় এড়ানো যায়। প্রত্যেকটা রাজ্য সংস্থা এবং নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর সঙ্গে কথা বলতে চলেছে বিসিসিআই। এরপরই তাঁরা একটি খসড়া তৈরি করে নেবে, যা বিজয় উৎসবের ক্ষেত্রে লাগু করা হবে