বিরাট কোহলির টেস্ট অবসরের পর থেকেই অনেক জল্পনা তৈরি হয়েছে। কেউ কেউ মনে করছিলেন, বিরাট হয়ত নিজের ইচ্ছাতে অবসর নেননি। বরং চাপে পড়েই টেস্ট থেকে অবসর নিতে হয়েছে। যদিও সেই সব জল্পনাকে উড়িয়ে দিচ্ছেন ভারতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়ক তথা প্রাক্তন বোর্ড সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।
মে মাসের ১২ তারিখ বিরাট কোহলি নিজের অবসর ঘোষণা করেন। বেশ কয়েকটি রিপোর্টে দাবি করা হয়, বিরাটকে নাকি বিসিসিআইয়ের তরফেও সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আর্জি জানানো হয়েছিল, যদিও বিরাট নিজের সিদ্ধান্তে অনড় ছিলেন। অস্ট্রেলিয়া সফর খারাপ যাওয়ায় অনেকের ধারণা ছিল, কোহলিকে হয়ত অবসর নিতেই চাপ দেওয়া হয়েছে।
যদিও বিরাট কোহলির অধিনায়কত্বের সময়ে ভারতীয় বোর্ডের সভাপতি থাকা সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় মনে করছেন বিরাটের মতো ক্রিকেটাররা নিজের সিদ্ধান্ত নিজেই নেন। তাই ৩৬ বছর বয়সে এসে টি২০ থেকে অবসরের পর বিরাট নিজেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন টেস্ট থেকে সরে দাঁড়ানোর।
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে বিরাটের অবসরের কারণ নিয়ে বিভিন্ন জল্পনা কথা জিজ্ঞাসা করা হলে, তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় না, বিরাটকে নিয়ে যে জল্পনা চলছে সেগুলো যুক্তিযুক্ত। একজন ক্রিকেটার হিসেবে সবাই বুঝতে পারে, সে কোথায় দাঁড়িয়ে রয়েছে। বিরাট হয়ত পাঁচ বছরে টেস্টে তেমন রান পায়নি, ও ইংল্যান্ডে গেলে আমি নিশ্চিত করে বলতে পারতাম যে ও রান করবে। ওর মতো ক্রিকেটাররা ফিরে আসতে জানে, কিন্তু বিরাট হয়ত মনে করেছে এটাই এই ফরম্যাটকে বিদায় জানানোর সেরা সময় ’।
এরপর নিজের অবসরের তুলনা টেনেই মহারাজ বলেন, তার মধ্যেও অবসরের তেমন ইচ্ছা ছিল না। খেলার আগুন ছিল ভিতরে। কিন্তু ২০১১ সালের বিশ্বকাপের জন্য যেহেতু ভারতীয় দলের এক তরুণ স্কোয়াড দরকার ছিল, তাই দলের স্বার্থেই সেই সময় সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বছর ৪০-র সৌরভ। এক্ষেত্রেও দলের স্বার্থেই নিজেই তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। ২০০৬-০৭ মরশুমে ওডিআইতে ভারতের বাকি সব ব্যাটারদের মধ্যে সৌরভেরই পারফরমেন্স সব থেকে ভালো ছিল, তবুও দলের স্বার্থেই সময় বুঝে তিনি সরে দাঁড়িয়েছিলেন।
সৌরভ বলছেন, ‘সব কিছুরই একটা শেষ থাকে। আমরা অনেকেই অবাক হয়েছি যখন শুনেছি যে বিরাট কোহলি অবসর নিচ্ছে টেস্ট থেকে। মাত্র ৩৬ বছর বয়স ওর। যথেষ্ট ফিট, এখনও আইপিএল আর ওয়ান ডে ক্রিকেট খেলছে। তবে দুটো এক নয়। একদিন না একদিন থামতেই হবে, যেমন আমিও ভেবেছিলাম নিজের সময়, যে এটাই থামার সঠিক সময়। সেই মতোই আমিও সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। ’।