Tamil Nadu vs Karnataka Ranji Trophy 2024: প্রথম ইনিংসে নিশ্চিত হাফ-সেঞ্চুরি মাঠে ফেলে আসা বাবা ইন্দ্রজিৎ দ্বিতীয় ইনিংসে শতরানের দোরগোড়া থেকে সাজঘরে ফেরেন।
তামিলনাড়ু বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে শতরান দেবদূত পাডিক্কালের। ছবি- পিটিআই।
তীরে এসে তরী ডোবা বোধহয় একেই বলে। প্রথম ইনিংসের ব্য়াটিং ভরাডুবি থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে রুদ্ধশ্বাস লড়াই উপহার দেয় তামিলনাড়ু। তবে জয় থেকে মাত্র ১৭ রান দূরে দাঁড়িয়ে যেতে হয় তাদের। যদিও ম্যাচ বাঁচিয়ে ১ পয়েন্ট ঘরে তোলে তামিলনাড়ু। ৩ পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ে কর্ণাটক। নিশ্চিত শতরান হাতছাড়া হয় একদা নাইট রাইডার্সের হয়ে মাঠে নামা বাবা ইন্দ্রজিৎ-এর। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, ইন্দ্রজিৎ প্রথম ইনিংসে নিশ্চিত হাফ-সেঞ্চুরি মাঠে ফেলে আসেন।
চিপকে রঞ্জির এলিট-সি গ্রুপের ম্যাচে সম্মুখসমরে নামে তামিলনাড়ু ও কর্ণাটক। টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নামে কর্ণাটক। তারা প্রথম ইনিংসে ৩৬৬ রান সংগ্রহ করে। ১২টি চার ও ৬টি ছক্কার সাহায্যে ২১৮ বলে ১৫১ রান করেন দেবদূত পাডিক্কাল। রবিকুমার সামর্থ ৫৭ ও হার্দিক রাজ ৫১ রান করেন। অজিত রাম ৪টি ও সাই কিশোর ৩টি উইকেট দখল করেন।
পালটা ব্যাট করতে নেমে তামিলনাড়ু তাদের প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৫১ রানে অল-আউট হয়ে যায়। অর্থাৎ, প্রথম ইনিংসের নিরিখে ২১৫ রানের বড়সড় লিড নেয় কর্ণাটক। বাবা ইন্দ্রজিৎ ৪৮ রান করেন। ৪০ রান করেন নারায়ণ জগদীশান। কর্ণাটকের বিজয়কুমার বৈশাক ৪টি ও শশী কুমার ৩টি উইকেট দখল করেন। ২টি উইকেট নেন হার্দিক রাজ। ১টি উইকেট নেন বিদ্বথ কাভেরাপ্পা।
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে কর্ণাটক ১৩৯ রানে অল-আউট হয়। দেবদূত পাডিক্কাল ৩৬ ও হার্দিক রাজ ২০ রান করেন। বিজয়কুমার বৈশাক ২২ রান করে নট-আউট থাকেন। দ্বিতীয় ইনিংসে অজিত রাম ৫টি উইকেট দখল করেন। ২টি উইকেট নেন সাই কিশোর।
জয়ের জন্য ৩৫৫ রানের লক্ষ্যমাত্রা সামনে নিয়ে শেষ ইনিংসে ব্যাট করতে নামে তামিলনাড়ু। চতুর্থ দিনে তারা ৮ উইকেটে ৩৩৮ রান তুললে ম্যাচ ড্র ঘোষিত হয়। অর্থাৎ, ২ উইকেট হাতে থাকা সত্ত্বেও তামিলনাড়ুকে জয়ের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে যেতে হয়।
শেষ ইনিংসে বাবা ইন্দ্রজিৎ ৯৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন। ৭৪ রান করেন প্রদোষ রঞ্জন পাল। বিজয় শঙ্কর ৬০ রানের লড়াকু ইনিংস খেলেন। ৭ রানে অপরাজিত থাকেন ক্যাপ্টেন সাই কিশোর। বিজয়কুমার বৈশাক দ্বিতীয় ইনিংসে ৩টি উইকেট দখল করেন। ২টি উইকেট নেন হার্দিক রাজ। প্রথম ইনিংসে ১৫১ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৬ রান করার সুবাদে ম্য়াচের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জেতেন দেবদূত পাডিক্কাল।